অবৈধভাবে বাংলাদেশে মালামাল পাচার করছে শাহ আলম।চিনি পাচার বাণিজ্য চালানোর সময় সাতসকালে বিএসএফের গুলিতে হত বাংলাদেশের যুবক। আবারোও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশী যুবকের।ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়।দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে থম থমে।উল্লেখিত ঘটনাটি ঘটেছে সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর ব্লক এবং কলমচৌড়া থানা সংলগ্ন পুটিয়া এলাকায়।জানা গেছে বক্সনগর ব্লক ও কলমচৌড়া থানা এলাকার পুটিয়াসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাকে ব্যবহার করে নিয়মিত সীমান্তে পাচার বাণিজ্য চলছে। মূলত ভারত তথা ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে চলছে নানা সামগ্রী।এই পাচার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে গবাদি পশু থেকে শুরু করে নানা ধরনের মসলা ও চিনি।সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকার পরও বিশেষত পুঁটিয়া এলাকা দিয়ে পাচার বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে বলে খবর।এই কাজে ভারত তথা ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকার বহু মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।তারা চিনি সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ভারত থেকে স্বদেশে চলে যাচ্ছে বলে খবর। প্রাপ্ত অভিযোগ অনুসারে বক্সনগর এলাকার শাহ আলম নামে এক ব্যক্তির উদ্যোগে গবাদি পশুসহ চিনি পাচার চলছে বাংলাদেশে।আর শাহ আলমের পাচার কাজে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশের মাহমুদ হাসান।ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গবাদী পশু পাচার রোধে যথেষ্ট তৎপর বলে জানা গেছে।এর মধ্যে বিশালগড় থেকে চিনি ও নানা ধরনের মসলা সংগ্রহ করে শাহ আলমের হয়ে পাচার কাজে নিয়োজিত মোহাম্মদ হাসান(৩০) পুটিয়া সীমান্তের টিয়া মুড়াস্থিত কাঁটাতার বেড়ার ১৪৪ ও ১৪৫নং সীমান্তের ফটকের মধ্য অংশ দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের উদ্যোগ নেয়।সোমবার সকাল ছয়টা নাগাদ ঘটনাটি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজরে আসতেই বাংলাদেশী যুবক হাসানকে বাধা দেওয়া হয়।তাকে দাঁড়ানোর কথা বলা হয় বলে খবর।অভিযোগ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন এলাকার মোঃ হাসান ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেনি। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার অতিক্রম করে হাসান ভারতের ভূখণ্ডের জিরো পয়েন্টে এলাকায় হিসেবে পরিচিত অংশে থাকার সময় ঘটে অঘটন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করায় তাকে উদ্দেশ্য করে বাহিনীর তরফে গুলি চালানো হয় বলে জানা যায়।এই গুলি গিয়ে তার পেটে লেগেছে বলে খবর।পরে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন স্থানীয় লোকজন তাকে টেনে উপার সীমান্তে নিয়ে যায়। তরীঘরি তাকে কুমিল্লা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনায় বাংলাদেশের সালদা নদী এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের শিবির এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।