ভোট সাঙ্গ হওয়ার সাথে সাথেই চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন আসরে চুলচেরা বিশ্লেষণ। রীতিমতো খাতায় কলমে চলছে অংক কষা। তবে কে হচ্ছেন করিমগঞ্জের পরবর্তী সাংসদ? কৃপা না হাফিজ। প্রথমাবস্থায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট তৈরী হলেও বিশেষ করে ভোটের দিন বদলে যায় পুরো সমীকরণ। করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে সংখ্যালঘুদের বিশাল ভোট বিজেপির বাক্সে আসবে।মুল লড়াই কংগ্রেস বিজেপির মধ্যে হবে। এক বাক্যে জয়ের কথা স্বীকার করলেও কোনো পক্ষই অবশ্য শান্তিতে নেই। জেলার প্রথম সারির নেতারা হিসেব নিকেশ করতে করতে রাতের ঘুম হারাম করছেন।এবারের নির্বাচন থেকে প্রমাণ হয়ে গেলো যে বদর উদ্দিন আজমল কে রাজনৈতিকভাবে বনবাসে যেতে আর বেশি বাকী নেই।এবারের নির্বাচনে ক্যারিশমা দেখিয়েছেন বিজেপির দুই বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও বিজয় মালাকার। অনেকের মতে পাথারকান্দি ও রামকৃষ্ণনগর বিধানসভা আসন থেকে প্রায় দুই লক্ষ ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেন বিজেপি প্রার্থী কৃপা নাথ মালা।এখন আর বিজেপি সংখ্যালঘুদের কাছে ব্রাত্য
কত শতাংশ মুসলিম ভোট পড়েছে বিজেপিতে ?কে হবেন করিমগঞ্জের নতুন সাংসদ?বিস্তারিত কমেন্টে।
নয়।শেখ,কিরান,মাঈমাল,চৌধুরী প্রত্যেকটি শ্রেনীর লোকদের ভোট বিজেপিতে পড়ার আভাস পাওয়া গেছে।বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মাল্লা পাথারকান্দি থেকে এক লক্ষ ভোটে লিড করবেন কারণ এবার ডেলিমিটেশনের জন্য অন্য সমষ্টির ৩০ টি বুথের ভোটাররা ভোট দিয়েছেন পাথারকান্দিতে।পাথারকান্দি বিধানসভা আসনে এবারের মোট ভোট ছিল এক লক্ষ উনআশি হাজার আটশো সাতাশি জন।ভোট পড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। যার মধ্যে হিন্দু ভোট নব্বই শতাংশ ও মুসলিম ভোট ৬০ শতাংশ বিজেপিতে পড়ার আভাস পাওয়া গেছে।তাই পাথারকান্দি থেকে এক লক্ষ ভোটে লিড পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালার এমনই অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ।এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আলোচনায় যা সামনে এসেছে এতে পরিষ্কার যে করিমগঞ্জ আসনে লড়াই হচ্ছে কংগ্রেসের হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীর বনাম বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালার।এআইইউডিএফ প্রার্থী সাহাবুল ইসলাম কে মুসলিম মানুষ সাইড লাইনে বসিয়ে দিয়েছেন।এখন পর্যন্ত কংগ্রেসের কোনো অফিসিয়ালি বৈঠক হয়নি,বিজেপির একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের বিভিন্ন স্তরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নিজেদের জয় নিয়ে নিশ্চিত কর্মকর্তারা। কংগ্রেস নিজেকে বিজয়ী মেনে কর্মীদের বার্তা দিয়েছে।উভয় দল লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ের ঘোষণা করেছে।পর্যবেক্ষক মহলের দাবি যেই জিতুন না কেনো ব্যবধান দশ থেকে পনেরো হাজারের বেশি হবে না।এবার পাথারকান্দিতে যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে, এই চিত্র আগামীদিনে কংগ্রেস কে বহু ভাবনায় ফেলে দিতে পারে।দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ ডাহা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।তিনি বলেছিলেন এক লক্ষ ভোট বিজেপির বাক্সে এনে দিবেন পনেরো হাজার অতিক্রম করবে কী না সন্দেহ রয়েছে বিশ্লেষকদের।সমান সমান লড়াই হয়েছে উত্তর করিমগঞ্জে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বহু সংখ্যালঘু ভোট বিজেপি বাক্সে এনে দিয়েছেন বলে চারিদিকে শুনা যাচ্ছে। তবে উভয় দলের ব্যবধান দু চার হাজারের বেশি হবে বলে মনে হয় না তথ্যবিজ্ঞ মহলের।দুই থেকে তিন শতাংশ হিন্দু ভোটে থাবা বসাবে কংগ্রেস এমন নিশ্চয়তা দিয়েছেন অনেকেই। তাই সরাসরি লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এই আসনে।হাইলাকান্দি জেলার আশি শতাংশ মুসলিম ভোট কংগ্রেসে পড়েছে।আজমল ব্রিগেড কে হাইলাকান্দির সংখ্যালঘুরা মেনে নেয়নি।করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর লোক থাকলেও ভোট বিভাজন তেমন হয়নি।সংখ্যালঘু এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভোট বেশি থাকা সত্ত্বেও এই আসনে বিজেপি জিতলে আগামী দিনের জন্য গেরুয়া ব্রিগেডের কাছে হবে এক মাইলফলক।