রামকৃষ্ণনগর হাস্পাতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রক্তাক্ত হাস্পাতাল চত্বর। চিকিৎসকের হাতে আক্রান্ত চিকিৎসক। প্রানে বাচলেন সেবিকারা।ঘটনাস্থলে পুলিশ। রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেশাগ্রস্ত চিকিৎসক সৌরজ্যোতি রায়ের দ্বারা আক্রান্ত রামকৃষ্ণনগর এস ডি এম এন্ড এইচ ও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস ও উনার শ্যালক রাজেশ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ডিউটিতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন চিকিৎসক সৌরজ্যোতি রায়। তিনি রোগী ও দেখেছেন রাতে এই নেশা করা অবস্থায়। রাত থেকেই তিনি হাসপাতালে এক উশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। হঠাৎ ডিউটিতে থাকা অবস্থায় প্রথমে তিনি ডিউটিতে থাকার নার্সদের আক্রমণ করলেন। কিন্তু নার্সরা বুদ্ধিমতার পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে কোনমতে প্রাণে বাঁচেন। যে তিনজন নার্সরা ডিউটিতে ছিলেন তারা হলেন সীমা আচার্য, নাগমা মজুমদার ও হামেদা লস্কর। ঐ সময় চিকিৎসক হাসপাতালের আসবাবপত্র এদিক ওদিকে ছুড়ে ফেললেন। একটি রুমের গ্লাস ভেঙ্গে দেন । বর্তমানে রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোনায় কোনায় শুধু রক্তের দাগ। চিকিৎসকের এই অবস্থা থেকে উপস্থিত সবাই আতঙ্কিত হয়ে যায়। এরপর চিকিৎসক সৌরজ্যোতি রায় হাসপাতাল থেকে ছুটে গিয়ে সোজা চলে যায় এস ডি এমও এন্ড এইচ ও বিধানচন্দ্র বিশ্বাসের রুমে। উনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভয়ঙ্কর ঘটনা রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।আতঙ্ক বিরাজ করছে হাসপাতাল চত্বরে।
ঘুমের মধ্যে উনাকে অপারেশনের একটি ছুড়ি দিয়ে আক্রমণ করে। উনার ঘরে ও রক্তের দাগ দেখা যায় । এ দিনের উনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাংবাদিকদের সামনে পুরা তথ্য তুলে ধরেন বিধানচন্দ্র বিশ্বাস ও উনার শ্যালক রাজেশ চৌধুরী। এ ঘটনা সম্পর্কে রামকৃষ্ণনগর পুলিশ কে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। বিধানচন্দ্র বিশ্বাস এ ঘটনা সম্পর্কে রামকৃষ্ণনগর থানাতে একটি এজাহার দায়ের করেন। চিকিৎসক সৌরজ্যোতি রায় কে ঘুমের ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে পুলিশের হাতে। এই ঘটনা হওয়ার পর রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য চিকিৎসক নার্স ও অফিস কর্মীদের মনে এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যুরো রিপোর্ট।