ফের বরাক বঞ্চনা। শিলচর থেকে চিরতরে উঠে বোজালী জেলায় স্থানান্তরিত হল এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পি ডব্লিউ ডি এন এইচ ডিভিশন কার্যালয়।এদিন শিলচর পিডব্লিউ ডি রোডে এন এইচ ডিভিশন কার্যালয়ের সকল আসবাবপত্র ষোলো চাকার বৃহৎ লরিতে তুলে বোজালি জেলার উদ্দ্যোশে প্রস্তুত হয়। ওই ডিভিশনের সব আধিকারিক ও কর্মচারীদেরও বোজালি জেলায় বদলি করা হয়। ক্যামেরার সামনে আসতে অনিচ্ছুক বিভাগীয় কর্মীদের আক্ষেপ ও নিরাশার চাপ স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। এখন থেকে আর ন্যাশনাল হাইওয়ে সংক্রান্ত কোন সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে যেতে হবে বোজালীতে। এভাবেই বরাক থেকে একের পর এক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কার্যালয়গুলোকে চুপিসারে ব্রম্মপুত্র উপত্যকায় তুলে নিয়ে যাওয়া চলছে। এমনকি ওই ডিভিশন কার্যালয়ে স্বল্প বেতনে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের ভবিষ্যতও ধোঁয়াশায়। একদিকে, বরাকে শিক্ষিত বেকারত্বের হার ক্রমশ উদ্ধেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেই কোন কল কারখানা, উদ্যোগিক প্রতিষ্টান গড়ে তোলার পরিকল্পনা। যেও ছিল পাঁচগ্রাম কাগজ কল তাও ধূর্ত রাজনীতির কল কৌশলে হল ধূলিসাৎ। নির্বাচনের ইস্যু সহ পেপার মিল পুণরোজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্য বরাকের নেতা ভোট বৈতরণী হন পার।এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনের বরাকের এবং উপত্যকার বেড়ে উঠা নবপ্রজন্মের কর্ম সংস্থানের হাল কি হবে প্রশ্ন ও উদ্ধেগ একাংশ সচেতন মহলে।বর্তমানে বরাকের আশি শতাংশ বিশেষ গ্রাম গঞ্জের বেরোজগার পরিবার ছেড়ে অসুরক্ষিত ভাবে জীবিকার তাগিদে রয়েছে ব্যাঙ্গালুর সহ দেশের ভিন্ন প্রান্তে।তবে কি, বরাক দেশের উন্নয়নের সীমানা থেকে বঞ্চিত। এবং কেন এর জন্য দায়ী কে প্রশ্ন উঁকি দেয় বাস্তব প্রকাশ্যে উঠে আসলে।ব্যুরো রিপোর্ট ।