অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হলো লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর। ফলাফলের এক দিনের মাথায় আলু, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, শাক সব্জি থেকে শুরু করে চাল ডাল, চিনি সহ সব ধরনের খাদ্য সামগ্রীর মুল্য বৃদ্ধি হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকের পকেট ফাঁকা হচ্ছে। করিমগঞ্জের ছন্তরবাজার, ঘাট লাইনের বাজারে শাকসব্জির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের নিজের মতো দাম বৃদ্ধি করেছে, মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের নেই কোনো ভূমিকা। প্রত্যেকদিন জ্বালানী তেল থেকে শুরু করে নানা ধরনের সামগ্রীর গাড়ি করিমগঞ্জে পৌঁছাচ্ছে। তারপর ও করিমগঞ্জে বাজারে শাক সব্জির দাম এতো বেশি কেনো? লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের একদিন আগেও করিমগঞ্জ বাজারে বেঙ্গলের আলু প্রতি কেজি মূল্য ছিল ত্রিশ টাকা, ফারাক্কা আলু প্রতি কেজি ছিল পঁয়ত্রিশ টাকা। পেঁয়াজ ত্রিশ টাকা ছিল, কাঁচা লঙ্কা ছিল পঞ্চাশ টাকা থেকে আশি টাকা, বেগুন, কাকরোল পটল ইত্যাদি সব্জির দাম ছিল প্রতি কেজি চল্লিশ টাকা। কিন্ত বৃহস্পতিবার থেকে বেঙ্গলের আলু হয়েছে পঁয়ত্রিশ টাকা, ফারাক্কার আলু হয়েছে চল্লিশ টাকা। কাঁচা লঙ্কা দুইশো টাকা, শাক সব্জি ৬০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বাজারে সব ধরনের খাদ্য সামগ্রীর মুল্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে জেলা প্রশাসনের উপর, কিন্ত
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মূল্য বৃদ্ধি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর।
কোন বাজারে ও জেলা প্রশাসনের কোন ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসন মুল্য বৃদ্ধির উপর নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করিমগঞ্জবাসীদের। একজন ব্যবসায়ী জানান এক সময় কোনো জিনিসের দাম বৃদ্ধি করলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কৈফিয়ত তলব করতেন। এখন যার যেমন খুশি দাম বৃদ্ধি করছে কেউ এসে খবর ও করেন না বলে অভিযোগ করেন উক্ত ব্যাবসায়ী। এদিকে চাল ডাল সহ সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দু দিন আগে যে মূল্য ছিল সামগ্রীর আজ সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের চালের মূল্য ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সেটাই দেখার বিষয়। ব্যুরো রিপোর্ট।