শিক্ষক বদলির প্রতিবাদে ধর্মনগর কৈলাশহর মূল সড়ক অবরোধ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের।স্থানীয় বিজেপি নেতার গুন্ডাগিরিতে আটজন ছাত্রী ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় শাসক দলীয় নেতৃত্বদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের।অভিযোগ, শিক্ষক বদলির প্রতিবাদে ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করতে গেলে বিজেপি নেতা কান্তি গোপাল নাথ সহ অন্যান্যদের মারে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কাঞ্চনপুর থেকে বগত তিন মাস পূর্বে ব্রজলাল নাথ নামে একজন শিক্ষক বদলি হয়ে ধর্মনগর মহকুমার আনন্দবাজার জীবন ত্রিপুরা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় আসেন।তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং দক্ষ শিক্ষক।ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়,তিনি উক্ত বিদ্যালয়ে
শিক্ষক বদলির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সীমান্ত রাজ্যে।Road blockade in the border state in protest of teacher transfers.
আসার পর থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ঐ শিক্ষককে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতো। এদিকে জানা গেছে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ওই বিদ্যালয়ে নাকি মদের আসর ঝাঁকিয়ে বসে,ফলে তিনি তার বিরোধিতা করেছিলেন একাধিকবার।এতেই দেখা দেয় চরম বিপত্তি। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এস এম সি কমিটির কিছু সদস্যরা এই ব্যাপারটি একেবারে ভালো চোঁখে দেখেনি। তাই মাত্র তিন মাসের মধ্যে বিদ্যালয়ের স্যার ব্রজলাল নাথকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়।আর এতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেখা দেয় বিক্ষোভ।আজ মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের গেটে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আনন্দবাজার এলাকায় কৈলাশহর-ধর্মনগর সড়কে অবরোধে বসে।খবর পেয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।বিদ্যালয়ের আইএসও ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে যান। কিন্তু এলাকার বিজেপি নেতা বলে পরিচিত কান্তি গোপাল নাথ, শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্দ্রমনি নাথ, এলাকার বিজেপি নেতা নারায়ণ নাথ এবং দেবাশীষ নাথদের রক্ত চক্ষুর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা অবরোধ স্থল ত্যাগ করে বিদ্যালয়ের কক্ষে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।পরে বিদ্যালয়ের কক্ষে গিয়ে তাদেরকে উচ্চ স্বরে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।পাশাপাশি কান্তি গোপাল নাথ সহ তার সাথীরা বিশ্রী ভাষায় বকাবকি শুরু করে।এমনকি দেবাশীষ নাথ কয়েকজন ছাত্রীকে মারধর করে বলেও দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের।এতে আটজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।পরে ধর্মনগর অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত ছাত্রীদের এক প্রকার অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।এতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবক মহল চূড়ান্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় মামলা করবেন বলে জানান।এদিকে যেসব ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে উত্তর জেলা হাসপাতালে রয়েছে তারা হলো মৌটুসী দাস, পূজা নাথ, ঈশিতা নাথ,অনুপ্রিয়া নাথরা।জানা গেছে তারা সকলেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।ব্যুরো রিপোর্ট ।