“রক্ষকই ভক্ষক “এই চিরাচরিত প্রবাদ বাক্যটি যখন বাস্তবে রূপ পায় তখন সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়ে।এমনই এক আইনের রক্ষক অন্যের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে দু’বছর ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছে।এমনই বিস্ফোরণ অভিযোগ করেন নির্যাতিতা ঐ মহিলা। ঘটনার বিবরণে ঐ মহিলা চপলা বেগম জানায়, চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের খাদিমপাড়ার বাসিন্দা উনার স্বামী সাবুল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিক স্বল্প সমস্যার ও উনার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য অসমের বদরপুরে এক ভাড়াটে বাড়িতে থাকতেন। তখন মহিলার একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে রাজু উদ্দিন নামের এক যুবক উনার সঙ্গে ভাই বোনের সম্পর্ক তৈরি করে এবং সেই সুবাদে মহিলার ভাড়াটে বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতো।পরে ধীরে ধীরে সে মহিলার একাকিত্বের বিষয়টি বদরপুর কমলাপাড়ার বাসিন্দা তথা অসম পুলিশে কর্মরত ওয়ারিছ আহমেকে জানায়।ওয়ারিছ আহমেদ পুলিশ হওয়ায় ঐ মহিলা তথা চপরা বেগমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ তার বাড়িতে পূর্বের স্ত্রী সহ চার সন্তানও রয়েছে বলে জানা গেছে। পরে বদরপুরে কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে সে প্রতিদিনই চপলার ভাড়াটে বাড়িতে যেতো ও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছিলো। এভাবে চপলার ধাপে ধাপে স্বামী সাবুল মিয়ার থেকে নেওয়া সাড়ে নয় লক্ষ টাকা ঐ প্রতারক পুলিশ কর্মী ওয়ারিছ আহমেদ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও চপলাকে জায়গা কিনে দেবে বলে হাতিয়ে নেয়।এমনই অভিযোগ প্রতারণার শিকার হওয়া চপলা বেগমের। তাছাড়া ওয়ারিছ আরো বলে যে চপলার স্বামী সাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে মামলা করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ করার জন্য।অপরদিকে,ঐ মহা প্রতাকক ওয়ারিছ সাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার স্ত্রী চপলার বিরুদ্ধে পরকিয়ার বিভিন্ন কাহিনী বলে। এভাবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া ও ফাটল ধরিয়ে সে নিজে চপলার দেহ ও সাড়ে নয়লক্ষ টাকা ভোগ করতে থাকে। তাছাড়াও সে চপলাকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে গুয়াহাটি হাই কোর্টে মামলা করাতেও উস্কানি দেয় বলে অভিযোগ।পরে যখন চপলা বাজারীছড়া থানাধীন ঝেরঝেরি গ্ৰামে তার বাপের বাড়িতে আসে সেই সুযোগে স্বামী সাবুল সেখানে যায় ও তার স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় স্ত্রী চপলা প্রতারক ওয়ারিছ আহমেদ সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। তার দীর্ঘ দুবছরে কুকৃর্তির কথা ও প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ চপলাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার কথা স্বামী সাবুলকে জানায়। এদিকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে সুবিচার চেয়ে ও অর্থ ফিরে পেতে চলতি মাসের পনেরো এপ্রিল চপলা ধর্মনগর ফৌজদারী আদালতে প্রতারক পুলিশ কর্মী ওয়ারিছ আহমেদ (পিতা শুক্কুর আলী) ও রাজু উদ্দিন (পিতা জয়নাল উদ্দিন) এর নামে ভারতীয় দন্ড বিধির ৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে।পরে চুরাইবাড়ি থানায়ও আরেকটি মামলা করেন চপলা। এখন দেখার ভক্ষক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালত।