তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের প্রচেষ্ঠায় ভেস্তে গেল এক অপ্রাপ্তবয়স্ক নাবালিকার বিয়ে। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন মোহরছড়া এলাকায়। ঘটনার বিবরণ দিয়ে তেলিয়ামুড়ার ডি.সি.এম সৌরভ দাস জানিয়েছেন,, খোয়াই চাইল্ড লাইনের কাছে গোপনে খবর আসে তেলিয়ামুড়া মোহরছড়া এলাকার নন্দলাল দাস নামের এক ব্যাক্তির অপ্রাপ্তবয়স্ক নাবালিকাকে জোরপূর্বক আগরতলার এক যুবকের সঙ্গে হিন্দু সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার
নাবালিকার বিয়ে ভেস্তে দিলো চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্ত হলো ডেকোরেটরের জিনিসপত্র।
কথা ছিল, যদি ও সম্পূর্ণটাই ছিল বেআইনি। এই অভিযোগ পেয়ে খোয়াই চাইল্ড লাইনের প্রচেষ্ঠায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন এবং তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সম্মিলিতভাবে অভিযান চালায়। পুলিশ, মহকুমা প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের উপস্থিতির টের পেয়ে নাবালিকার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়। সেই সঙ্গে নাবালিকার এলাকার লোকজন সহ পরিবারের লোকজন পুলিশ, মহকুমা প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইন’কে কোন প্রকারের সহায়তা করেনি বলেও অভিযোগ। যদিও আপাতত মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডি.সি.এম সৌরভ দাস ডেকোরেটরের জিনিসপত্র সহ বিবাহ আনুষাঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে। তবে
নাবালিকার বিয়ে ভেস্তে দিলো চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্ত হলো ডেকোরেটরের জিনিসপত্র।
স্বভাবতই বলা যায় যে, আধুনিকতার যুগেও নাবালিকা বিবাহের মতো কিছু প্রথা বর্তমান যুগেও রয়ে গেছে সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না মানুষজন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবি মহল মনে করছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে, তবেই শুধরে যাবে সমাজ।আগরতলা থেকে সুব্রত দের রিপোর্ট।