কথায় আছে রাখে হরি মারে কে। দীর্ঘ ৮ বছর পূর্বে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোজ হওয়া এক মহিলা সুস্থ মস্তিষ্কে ফিরে এলেন নিজের ঘরে। আনুমানিক ৮ বছর পূর্বে লোয়াইরপোয়ার পার্শ্ববর্তী ডেঙ্গুরাছড়ার বাসিন্দা গঙ্গা লোহারের স্ত্রী জয়ন্তী লোহার নামে এক মহিলা। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঘর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর ঘরের লোকজন অনেক খোজাখুজি করলেও কোনও সন্ধান পাননি। রবিবার অর্থাৎ আজ দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকায় হঠাৎ একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে জয়ন্তী লোহার নিজের গ্রামে এসে উপস্থিত হন। তার আসার খরব পেয়ে তাকে দেখতে জড়ো হন এলাকার লোকজন । ছুটে আসে তার এক পুত্র সন্তানও। দীর্ঘ ৮ বছর পর মাকে দেখে প্রথমে মাকে প্রনাম করে তারপর একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না ভেঙে পড়েন মা ও ছেলে। জয়ন্তীর সঙ্গে আসা দুজন হলেন সমর বসাক ও অঞ্জনা পাল। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সমর বসাক জানান, তারা দুজন মহারাষ্ট্র মুম্বাইয়ের শ্রদ্ধা রিহেবিলিটেশন ফাউন্ডেশন নামের এন জি ও তে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন। তারা খবর পান ১৬/৩/২০২৩ সাল থেকে জয়ন্তী মানসিক ভারসাম্য হীন অবস্থায় চেন্নাইয়ের আমবাগানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তারপর তারা ২২/৩/২০২৪ তারিখে জয়ন্তীকে মুম্বাইয়ের শ্রদ্ধা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এবং শ্রদ্ধা হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী তথা চিকিৎসক ভরত ভাটোয়ানির অধীনে জয়ন্তীর চিকিৎসা চলতে থাকে। তারপর জয়ন্তীর ঘরের ঠিকানা বের করে এই মাসের ২০ তারিখে জয়ন্তীকে সঙ্গে নিয়ে তারা দুজন রওয়ানা হন জয়ন্তীর ঘরের উদ্দেশ্যে।তিনি আরও বলেন জয়ন্তীকে তার ঘরে পৌছে দিতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে জয়ন্তীর এই অবস্থা হয়েছিল। জয়ন্তীর জন্য ২ মাসের ঔষধও সঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং একই ভাবে দুমাস দুমাস করে তার জন্য ঔষধ দিয়ে যাবেন। সঙ্গে আরও বলেন ঘরের লোকেরা সময় সময় যাতে তাকে ঔষধ গুলো দিতে থাকেন। তিনি বলেন চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর জয়ন্তী প্রথমে তার ঘরের ঠিকানা নেপালে বলে জানায়। নেপালে গিয়ে খোজাখুজি করলে সেখানে তার ঠিকানা মিলেনি। তার পর প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা চলার পর জয়ন্তী তার সঠিক ঠিকানা জানায় তাদেরকে। জয়ন্তী সুস্থ থাকার জন্য শ্রদ্ধা ট্রাস্টের তরফ থেকে দু বছর বিনামূল্যে ঔষধ প্রেরণ করা হবে বলে জানান শ্রদ্ধা এনজিওর কর্মী সমর বসাক।সঞ্জিত কৈরী ও অনিমেষ দেবের রিপোর্ট ।