পশ্চিমবাংলার এই জায়গায় রয়েছে জীবন্ত মা কালী অত্যন্ত জাগ্রত মন্দির। যেখানে প্রতিদিন রাতে নাকি পাশের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান মা কালী। এই মন্দিরে ভক্তরা গেলে নাকি মনস্কামনা পূরণ হয়। শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হল এটাই সত্যি, এই মন্দিরের আরও কিছু অলৌকিক রহস্য জানলে আপনিও হবেন অবাক । আপনি কলকাতা থেকে একদম কাছে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন এই মন্দিরটি। কোথায় রয়েছে এই মন্দির? কিভাবেই বা যাবেন আপনি জানুন বিস্তারিত। মা কালীর নামের মাঝেই ভবসাগরে ডুব দিয়েছিলেন রাম প্রসাদ সিং, ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, সাধক বামাক্ষ্যাপা, সাধক কমলাকান্ত, সাধক আক্তারাম প্রমুখরা বাদ পড়েননি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ও। আসল কথা বাঙালিদের প্রিয় দেবী মা কালী সমগ্র উপমহাদেশে
প্রতিরাতে কালী ঘুরে থাকেন এই জঙ্গলে ! জানেন কী জঙ্গলের নাম ?দেখুন এই প্রতিবেদন।
কালীবাড়ির সংখ্যা অগুন্তি৷ তবু এরই মধ্যে স্বতন্ত্র খুঁজে নিয়েছে বাংলা । কালী হলেন বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী দেবী এ কথা বলাই যায়। তথ্য বলছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে দেবীর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। সেই জনপ্রিয়তা থেকে গড়ে উঠেছে অলৌকিক জনশ্রুতি। এই সমস্ত অলৌকিক ও তার জেরে বিখ্যাত একের পর এক কালীবাড়ি বঙ্গের মধ্যে আবার বীরভূম জেলায় রয়েছে একাধিক কালীবাড়ি। লালমাটির দেশ বীরভূম কে বলা চলে মা কালী চারণভূমি। তারা পিঠ , নলহাটেশ্বরী, কঙ্কালীতলা, এই মন্দিরের পাশাপাশি বীরভূমের মগধেশ্বরী কালি মা বিশেষ প্রসিদ্ধ । জনশ্রুতি রয়েছে বীরভূম জেলার এই কালী মন্দিরের মা কালী প্রতিদিন রাতে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। বীরভূম জেলার বীরসিংহপুর গ্রামে রয়েছে এই আশ্চর্য কালী মন্দির। এই মন্দিরের নাম মগধেশ্বরী কালী মন্দির, লোকমুখে শোনা যায় এই মন্দিরকে ঘিরে আগে অনেক বসতবাড়ি ছিল। সেই সমস্ত বাড়িতেই সমস্ত তন্তুবাই সম্প্রদায় বা তাঁতিরা বসবাস
প্রতিরাতে কালী ঘুরে থাকেন এই জঙ্গলে ! জানেন কী জঙ্গলের নাম ?দেখুন এই প্রতিবেদন।
করত। তারা দিন-রাত তাঁতের কাজ করতেন এবং খট-খট শব্দে তাঁতের যন্ত্র চলত। শোনা যায় এই শব্দের কারণে মা কালী সেখানকার মানুষের স্বপ্নে এসে রাতে তাঁদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী তাঁতিরা মায়ের আদেশ পালন না করে নিজেদের কাজ চালাতে থাকে। এরপর তারা প্রত্যেকেই একে একে বিভিন্ন রোগে মারা যায় অভিশপ্ত হয়ে। আস্তে আস্তে বসত বাড়ি বলে আর কিছুই থাকে না। এই সমস্ত এলাকা জুড়ে গজিয়ে ওঠে ঘন জঙ্গল শোনা যায় কালো গ্রেনাইট পাথরে খোদিত এই অপূর্ব কালীমূর্তি আগে ছিল মগধের। হ্যাঁ ঠিকই ভাবছেন মহাভারতের জরাসন্ধের রাজ্য সেই মগধের নাম শুনেছেন সেখানে, যার বর্তমান নাম পাটনা।
সেখান থেকে রাজনগরের বীর লাহা বসন্ত সিংহ রায় রাজনগরের মাতৃ মূর্তিটি নিয়ে আসেন এবং পুকুরের মাঝে এই কালী মাকে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে ১৬০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে বীরভূমে যখন পাঠান রাজাদের আবির্ভাব ঘটে, তখন রাজবাড়ির পণ্ডিত সুড়ঙ্গের মাধ্যমে
প্রতিরাতে কালী ঘুরে থাকেন এই জঙ্গলে ! জানেন কী জঙ্গলের নাম ?দেখুন এই প্রতিবেদন।
এই কালি মাকে বীরসিংহপুরে নিয়ে আসে। তারপর থেকেই এখানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই মাতৃমূর্তি জনশ্রুতি আছে এখানকার জঙ্গলে মা কালী প্রতি রাতে ঘুরে বেড়ান। আশপাশের এলাকার মানুষজন বলেন, এখানকার মা কালী খুব জাগ্রত। বীরসিংহপুরের মা কালীর কাছে মনস্কামনা করে থাকলে তা পূরণ হবেই এমন জনশ্রুতি রয়েছে। তবে কখনও রাতের বেলা এই মন্দিরে জানেন মা অসন্তুষ্ট হতে পারেন।