ব্রিটিশের অত্যাচার কে হার মানানো ঘটনা ত্রিপুরায়। গৃহহীন ১৫টি পরিবারের অস্থায়ী ঘরবাড়ি ভেঙে দিলো বন বিভাগ। গৃহহীনদের অস্থায়ী ঘর ভেঙে বীরত্ব দেখালো অনিমেষ দেববর্মার বন বিভাগ। মহিলা বনকর্মী ছাড়াই মহিলাদের উপর চললো এই নির্যাতন। টাকা না থাকায় ভাড়া ঘর থেকেও তাড়িয়ে দিলো মালিক পক্ষ। মিজোরামের রিয়াং শরনার্থীরা সরকারি ভূমি পেলেও পেলনা প্রকৃত ভূমিপুত্ররা। কাঞ্চনপুর থেকে একরকম উদ্বাস্তু হয়ে পেকুছড়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিল পনেরো ভূমিহীন পরিবার৷ ভোটার তালিকায় নাম আছে,কিন্তু নেই বসত ভূমি।গভীর জঙ্গলে রাত কাটাতে হচ্ছে অসহায় ভূমিহীন ১৫টি পরিবারকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কাঞ্চনপুর মহকুমার সুভাষনগর সহ আশপাশ এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন ভূমিহীন বেশ কিছু পরিবার। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা,তবুও অনেকেই সেখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে দিতে না পারায় সেখান থেকেও বিদায় করে দেয় বাড়ি মালিকরা। এমতাবস্থায় অসহায় পরিবারগুলোর নিরুপায় হয়ে ইতিমধ্যে উত্তর জেলার পানিসাগর মহাকুমাধীন জলেবাসা বন দফতরের অধীন পেকুছড়া এলাকায় এসে গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।ত্রিপল দিয়ে তাবু বানিয়ে যাযাবরের ন্যায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে তাঁরা কোনরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই। কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধে বন বিভাগের কর্মীরা।খবর পেয়ে শনিবার রাত আটটা নাগাদ ঐ এলাকায় বনকর্মীরা দলবল নিয়ে উপস্থিত হয় ও উদ্বাস্তু ভূমিহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় বলে জানায়।শুধু তাই নয় বন কর্মীরা মহিলাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে উচ্ছেদ করে দেয়।তাছাড়া কোন মহিলা কর্মী ছাড়াই এদিন অভিযান সংঘটিত করে বনদপ্তরের কর্মীরা।এতে বাঁধা দিতে গেলে বেধড়ক মারপিট করা হয় মহিলা পুরুষ সহ শিশুদেরও।বন দপ্তরের কর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে যায় বলেও জানান ভূমিহীন পরিবারগুলো।বলা হয় পরের দিন যাতে ওই এলাকায় কেউ না থাকে।বনদপ্তরের এমন নির্মম অত্যাচারের পর অসহায় ওই পরিবারগুলো গভীর জঙ্গলে খোলা আকাশের নিচে শনিবার রাতভর থাকতে হয়েছে।এদিন রাতেই স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ভূমিহীনদের মধ্যে মতিমালা নাথ,ও মাম্পি নাথরা জানান, স্থানীয় পেকুছড়া গ্রামে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কথায় কাঞ্চনপুর থেকে তারা সেখানে আসেন।ভূমিহীন পনেরোটি পরিবারে প্রায় ৫০ জন সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ভোট দিয়ে আসছেন দীর্ঘ বছর বছর ধরে।কিন্তু তাদের কপালে আজও জোটেনি মাথা গোঁজার মতো এক টুকরো ভূমি।ভোট আসে ভোট যায় ভূমিহীনরা অসহায় এমন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।এরমধ্যে অনেকেই কোলের শিশু নিয়ে অসহায়।তাই তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান যে তাদের মাথা গোঁজার মতো সামান্য ভূমি যাতে তাদেরকে দেওয়া হয়।কেননা মিজোরাম থেকে আসা শরণার্থীরা যদি সরকারের সবধরনের সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও তারা কেন পাবেন না।এদিকে স্থানীয় বনদপ্তরের এমন কান্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুমিহীন পরিবারের সদস্যরা।রবিবার সকালে এ বিষয়টি জানাজানি হতেই বন দপ্তরের ভূমিকায় গোটা পানিসাগর মহকুমা জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।এটেনশন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এটাই কি আপনার সরকারের সুশাসন। প্রতিটি সরকার গঠনেই তারাই ভোট দিয়েছে ব্যাতিক্রম নয় আপনার সরকারও কিন্তু আপনার মন্ত্রী সভার সদস্য অনিমেষ দেববর্মার বিভাগ যা করলো তা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি আসলে সুশাসনের কথা চিন্তা করে এরাও ভেবেছিলো এরাও হয়তো ভূমিহীনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেনা কিন্তু যদি ভাবতো সুশাসনের ঠেলায় তাদের উপর এধরণের নির্যাতন চলবে তাহলে হয়তো তারা এই সরকার প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতোনা যাইহোক প্রশ্ন সময়ের জন্য তোলা রইলো কারন ইতিহাস যে কাউকে ক্ষমা করেনা৷