২০১৬ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আসামে শিক্ষাব্যবস্থা যেমন তলানিতে যাচ্ছে তেমনি ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা।জাতি-মাটি -ভেটি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট বছর অতিক্রম করা বিজেপি সরকারের আমলে বিভিন্ন শিল্প কারখানা বন্ধ করা হয়েছে,চা বাগানগুলোতে তালা ঝুলানো হচ্ছে,চাকুরির জন্য শিক্ষিত বেকার যুবক -যুবতীরা হাহাকার করছেন।মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আম আদমি পার্টির কর্মকর্তারা।অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা সভাপতি সায়নূল হক বলেন দেশের রাজনীতি দিল্লিতে আম আদমির পার্টির সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো থেকে বিনামূল্যে শিক্ষাদান যেমন হচ্ছে তেমনি সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা লাভ করছেন সাধারণ মানুষ।তাছাড়া ঘর প্রতি দুশো লিটার করে পাণীয় জল এবং বিদ্যুতের ভালো পরিষেবা লাভ করছেন সবাই।মেধার ভিত্তিতে চাকুরি হচ্ছে,বাড়ছে শিল্প করখানা।অন্যদিকে আসামে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্মার্ট মিটার বসিয়ে বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হচ্ছে।বিশুদ্ধ পাণীয় জলের পরিবর্তে নোংরা জল প্রদান করা হচ্ছে।রাজ্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারের দৌলতে প্রায় আটহাজার সরকারি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে,বাড়ছে বেসরকারি স্কুলের রমরমা ব্যবসা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা নেই।সিংহভাগ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ব্যক্তিগত নার্সিংহোম তৈরী করে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ করেন সায়নূল হক।বলেন চা বাগানের শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত।ইতিমধ্যে বহু বাগান মালিক রাতের অন্ধকারে বাগানে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।২০১৬ সালে জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার আট বছর পূর্ণ করেছে কিন্তু রাজ্যে আটটি শিল্প কারখানা তৈরী হয়নি বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন আম আদমি পার্টির করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি সায়নূল হক।বলেন আসাম চুক্তির ছয় নম্বর ধারা যেমন বাস্তবায়ন হয়নি তেমনি ২০২৪ সালে সরকারিভাবে ঋণের বোঝা রয়েছে এক লক্ষ বেয়াল্লিশ হাজার কোটি টাকা।জনপ্রতি হিসেবে চল্লিশ হাজার করে ঋণ রয়েছে বলে জানান তিনি।একইভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে রন্ধন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বিজেপি সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন সায়নূল।ফলে বিকল্প হিসেবে আম আদমির পার্টিকে বেছে নিতে আহ্বান জানান সায়নূল হক।বলেন আগামী পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সঙ্গে করিমগঞ্জে আম আদমির পার্টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।ব্যুরো রিপোর্ট ।