হাতিখিরা চা বাগান শ্রমিকদের হাজিরা বৃদ্ধি করার দাবি নিয়ে পুনরায় বাগান ম্যানেজারের কাছে স্মারকপত্র প্রদান করল হাতিখিরা চা বাগানের চার ফাড়ি বাগান সহ মূল বাগানের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিখিরা চা বাগানের চার ডিভিশনের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা হাতিখিরা বাগান কার্যালয়ের সম্মুখে জমায়েত হন। তারপর একটি স্মারকপত্র বাগান ম্যানেজার সুনীল সেনাপতির হাতে তুলে দেন।
মুজুরি বৃদ্ধির জন্য স্নারকপত্র প্রদান প্রবন্ধক কে।চা শ্রমিকরা হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধায়কের।
এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সংগে কথা বলতে গিয়ে হাতিখিরা বাগান পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা বলেন যে, আজ এই স্মারকপত্র প্রদান করার কারণ হলো লঙ্গাই ভেলিতে অনেক চা বাগান রয়েছে, যেখানে চা বাগান গুলোতে ২২৮ টাকা করে হাজিরা প্রদান করা হয় চা শ্রমিকদের। কিন্তু হাতিখিরা এমন একটি চা বাগান যেখানে আজ অবধি ১৭৫ টাকা হাজিরা প্রদান করা হচ্ছে। তাই আজ আমরা হাতিখিরা চা বাগানের চার ডিভিশন একত্রিত হয়ে একটি স্মারকপত্র প্রদান করে হাতিখিরা বাগান ম্যানেজারের কাছে।যাতে অন্যান্য চা বাগানে যেভাবে ২২৮ টাকা করে শ্রমিকদের হাজিরা প্রদান করা হয়, ঠিক একই ভাবে হাতিখিরা চা বাগানেও এই সমস্যার সমাধান বের করে ২২৮ টাকা করে শ্রমিকদের হাজিরা প্রদান করা হোক। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা এই ব্যাপারে আরও বলেন হাজিরা বৃদ্ধির ব্যাপারে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের অনেক অবদান রয়েছে। বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এব্যাপারে পূর্বে ১৫০ টাকা হাজিরা থেকে ১৭৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি
মুজুরি বৃদ্ধির জন্য স্নারকপত্র প্রদান প্রবন্ধক কে।চা শ্রমিকরা হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধায়কের।
করিয়েছিলেন। হাতিখিরা চা বাগানের যেকোনো সমস্যাতেই বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল শ্রমিকদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। হাতিখিরা চা বাগান যখন লকআউট হয়, ওই সময় ও বিধায়ক বাগান শ্রমিকদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলেন। বাগান শ্রমিকদের হাজিরা বৃদ্ধি করার বিষয়ে ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে ম্যানেজার সুনীল সেনাপতি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদেরকে আশ্বাস দেন শ্রমিকদের তরফ থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় আগামী ১২ জুন একটি বৈঠকের জন্য। এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে শ্রমিকদের হাজিরা বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে কত হাজিরা বৃদ্ধি করা হবে এব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই বলেননি বাগান ম্যানেজার সুনীল সেনাপতি । তাই বাগান পঞ্চায়েতের দাবি , যেহেতু বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের হাজিরা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেক অবদান রয়েছে তাই এই ১২ জুনের বৈঠকে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, লোয়াইরপোয়া ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি ও হাতিখিরা প্রাক্তন জিপি সভাপতি তাদের উপস্থিতিতে এই বৈঠকটি হওয়ার আবেদন জানান। স্মারকপত্র প্রদান কালে
মুজুরি বৃদ্ধির জন্য স্নারকপত্র প্রদান প্রবন্ধক কে।চা শ্রমিকরা হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধায়কের।
উপস্থিত ছিলেন চা বাগানের চার বিভাগের বাগান সভাপতি যথাক্রমে বিক্রম ফুলমালি, রামাকান্ত কানু, চন্দন পাশী,সাধারণ সম্পাদক মিঠুন রবিদাস সহ হাতিখিরা চা বাগান পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদের পদাধিকারীরা।অনিমেষ দেব ও রঞ্জিত কৈরীর রিপোর্ট।