আইএনটিসি ত্যাগ করে আজ হাতিখিরা চা বাগানের বাগান পঞ্চায়েত সহ চা শ্রমিকরা যোগ দিলেন ভারতীয় চা মজদুর সংঘে। অভিযোগ আইএনটিসি পূরণ করতে পারে নি তাদের সাত দফা দাবি। উল্লেখ্য সাথ দফা দাবি নিয়ে গত কিছুদিন থেকে পাথারকান্দির বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন, কিন্ত দাবী পূরণ হয় নি। আজ বেলা অনুমনিক দুপুর বারোটা নাগাদ হাতিখিরা নাচঘর প্রাঙ্গণে ভারতীয় চা মজদুর সংঘের কার্যকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার মাধ্যমে হাতিখিরা ফাঁড়ি বাগান সহ সাতটি ডিভিশনের পঞ্চায়েত ও শ্রমিকরা যোগ দেন ভারতীয় চা মজদুর সংঘে।এদিকে আইএনটিসি ত্যাগের কারণ বলতে গিয়ে হাতিখিরা চা বাগানের সাধারণ
দাবী পূরণে ব্যর্থ আইএনটিসি অভিযোগ শ্রমিকদের।চা মজদুর সংঘে যোগদান করলেন চা শ্রমিকরা।
সম্পাদক লখছমি নারায়ণ রবিদাস সংবাদ মাধ্যমে কে জানান যে হাতিখিরা চা বাগান যখন লক আউট ছিল তখন আমরা আইএনটিসির কাছে বাগান খোলার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম কিন্ত আইএনটিসি বাগানে আসে নি। তিনি বলেন গত নয় মাস বাগান লক আউট ছিল তখন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের হস্তক্ষেপে বাগান খুললো এবং পুনরায় চালু হলো বাগান। খোলার পর ও আমরা বোনাস, মজুরি, সহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয় ফের আমরা আইএনটিসি কে অবগত করেছিলাম বিষয়টি কিন্ত আমাদের সমস্যার সমাধান করে নি উক্ত সংঘটন।তাই আজ আমরা ক্ষোভে সকল শ্রমিকদের নিয়ে ভারতীয় চা মজদুর সংঘে যোগদান করেছি। তিনি বলেন আমাদের দাবি ছিল দৈনিক মজুরি দুশো আঠাশ টাকা করা, শ্রমিকদের বছরে ছাতা চপ্পল দেওয়া সহ সাতটি দাবী ছিল আমাদের তা পূরণ করতে পারে নি আইএনটিসি। অবশেষে আজ আমরা বিএমএস অর্থাৎ ভারতীয় মজদুর সংঘে যোগদান করেছি। উল্লেখ্য আজ হাতিখিরা চা বাগানের ছয়টি জায়গায় পৃথক পৃথক সভা করেন ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সাহু। আজকের সভা গুলোতে উপস্থিত ছিলেন বাগান পঞ্চায়েত যথাক্রমে বিক্রম ফুলমালি, মুন্না রী, পান্না লাল পাশি, রমাকান্ত কানু, বরাক মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সাহু, প্রাক্তন আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি শ্যাম আকুড়া, উমাশঙ্কর রবিদাস, বিশ্বজিৎ গোয়ালা সহ অন্যান্যরা। ব্যুরো রিপোর্ট।