ফের বোনাস নিয়ে জটিলতা হাতিখিরা চা বাগানে। দীর্ঘ বৈঠকের পরেও খুললো না জট। আজ দুর্গা পূজার বোনাস নিয়ে হাতিখিরা চা বাগানে শ্রমিকপক্ষ ও মালিক পক্ষের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাতিখিরা চা বাগানের অধিনে থাকা ছয়টি ফাড়ি বাগানের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে ম্যানেজার অর্পিত সিংয়ের নিকট দূর্গা পূজোর বোনাস বাবদ ১২ শতাংশ বোনাস দেওয়ার দাবি জানান। তবে হাতিখিরা মালিকপক্ষের তরফ থেকে বাগান ম্যানেজার অর্পিত সিং জানান যে এবারের দুর্গাপুজোয় শ্রমিকদেরকে ১১.৩৩ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। শ্রমিক পক্ষের বাগান পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা ১১.৩৩ শতাংশ বোনাস মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং তাদের দাবি এবারের দুর্গাপূজায় ১২ শতাংশ বোনাস শ্রমিকদেরকে দিতে হবে । শ্রমিকপক্ষ এবং মালিকপক্ষের বহু সময় আলোচনার পর এবারের দুর্গাপুজোর বোনাসের সঠিক সিদ্ধান্তে এখনো পৌঁছয়নি
হাতিখিরা চা বাগানে দুর্গা পূজার বোনাস নিয়ে টানাপোড়েনIn the Hatikhira tea garden, there is a conflict regarding the Durga Puja bonus.
ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য গত দু’বছর পূর্বে দূর্গা পূজার প্রাকমুহুর্তে হাতিখিরা চা বাগানে বোনাস নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর বাগানটি লক আউট হয়ে যায়। এই সময় পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়ান । গত বছরও ঠিক একই ভাবে দূর্গা পূজার বোনাস নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়, শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী বোনাস দেওয়া হয়নি, ১০ শতাংশ বোনাসের সিদ্ধান্তটি কে মেনে নিতে হয় শ্রমিকদের। তাই এবারের দুর্গাপূজায় শ্রমিক পক্ষের এটাই দাবি যে কমপক্ষে ১২ শতাংশ বোনাস বাবদ তাদেরকে যাতে দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা পর্যন্ত মালিকপক্ষ তথা শ্রমিক পক্ষের তরফ থেকে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আজকের এই দুর্গাপুজোর বোনাসের বৈঠকে হাতিখিরা চা বাগানে উপস্থিত ছিলেন বিক্রম ফুলমালি, মুন্না রী, চন্দন পাসি, নন্দু কানু, জয়চান্দ গোয়ালা সহ অন্যান্যরা। ব্যুরো রিপোর্ট নিউজ অবিকল।