প্রতিবেশী কে হত্যা করার অভিযোগে হাইলাকান্দিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী কে হত্যা করার অভিযোগে হাইলাকান্দিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।২০১৯ সনে ভূমি সংক্রান্ত ছোট এক বিবাদ কে নিয়ে রাতের অন্ধকারে নিজের প্রতিবেশী কে হত্যা করেছিল যুবকটি। শুক্রবার হাইলাকান্দি অতিরিক্ত জেলা এবং ন্যায়দন্ডাধীশ ডক্টর মাহমুদুল হাসান বড়ভূঁইয়া এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন।২০১৯ সনের ৮ নভেম্বর রাত প্রায় নয়টা নাগাদ হাইলাকান্দি জেলার লালা থানার অন্তর্গত ট্যান্টু অঞ্চলের বাসিন্দা জাকির হুসেন মাঝারভূঁইয়া কইয়া চা বাগান থেকে নিজের ঘরে আসার সময় অর্ধেক রাস্তাতে কয়েকজন যুবক গাড়ি নিয়ে এসে তাকে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে পলায়ন করে। স্থানীয় লোকজন দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে শিলচর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। কিন্ত সেই রাতেই চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপরের দিন জাকির হুসেনের পত্নী খাদেজা বেগম মাঝারভূঁইয়া লালা থানায় স্বামী কে হত্যা করার অভিযোগ উত্থাপন করে এক মামলা দায়ের করেন। লালা পুলিশ ৫৯৩/১৯ নম্বরে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রজ্জু করে তদন্ত আরম্ভ করেন। এবং জাকির হুসেনের প্রতিবেশী বাহার উদ্দিন বড়ভূঁইয়া, আবু বকর বড়ভূঁইয়া এবং ছালেহ আহমেদ বড়ভূঁইয়া কে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে জাকির হুসেনের পুরনো জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। এবং মাত্র দুই মাসের ভিতরে লালা থানার তৎকালীন ওসি লিটন নাথ তদন্ত সম্পূর্ণ করে মামলার চার্জশীট আদালতে প্রেরণ করেন। আদালতে মামলাটি ১৮/২০ নম্বর এবং ৩০২/৩৪ ধারায় নথিভুক্ত করে বিচার প্রক্রিয়া আরম্ভ করেন। এবং আদালতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে মামলা চলার পর হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলা এবং ন্যায়দন্ডাধীশ ডক্টর মাহমুদুল হাসান বড়ভূঁইয়া এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায়দান করেন। রায়দানে ন্যায়দন্ডাধীশ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাহার উদ্দিন বড়ভূঁইয়া কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি প্রদান করেন। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং টাকা পরিশোধ না করলে আরও তিন মাসের সশ্রমের কারাদণ্ডের শাস্তি প্রদান করতে নির্দেশ দেন। অবশ্য পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ন্যায়ধীশ দুজন অভিযুক্ত আবু বকর বড়ভুইয়া এবং ছালেহ আহমেদ বড়ভূঁইয়া কে দোষমুক্ত করেন।ব্যুরো রিপোর্ট।