কালিনগর জিপির সাত নম্বর ওয়ার্ডে জবকার্ড ধারী কারণ্য শুক্ল বৈদ্যর পরিবারের উপর জব কার্ডের টাকা না দেওয়ায় হামলা চালালেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য লিটন দাস, তার বড় ভাই মিটন দাস ও অন্যান্য বন্ধুরা। প্রশাসনের কাছে দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামের মানুষেরা।——————- কালিনগর জিপির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কারন্য শুক্ল বৈদ্য একজন জবকার্ড ধারী। উনার জব কার্ডের টাকা ঢুকেছে। তিনি জব কার্ডের কাজও করছেন। কিন্তু কিছুদিন থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য লিটন দাস সব সময় তাকে বিরক্ত করে যাচ্ছে। তাকে বলছে যে জব কার্ডের টাকা গুলি তাকে দিয়ে দিতে। আর না হলে অসুবিধা হবে। তিনি তো জব কার্ডের টাকা দেননি। টাকা না দেওয়ার ফলে বৃহস্পতিবার বিকালে উনার ভাতিজা সঙ্গে মারমুখি মেজাজে পতিত হয় মেম্বারের বড় ভাই মিটন দাস। সে কারন্যর দুই ভাতিজা কে মারধর করে। এই মারধরের ঘটনা দেখে উনার ভাই লাবণ্য শুক্ল বৈদ্য চলে আসেন রাস্তায়। উনি দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি আটকানো গেলে উনাকে মারার পরিকল্পনা করে। তখন সঙ্গে সঙ্গে উনার স্ত্রীর ঝর্ণা শুক্ল বৈদ্য চলে আসেন মার পিঠ আটকানোর জন্য। লাবণ্য শুক্ল বৈদ্য কে মারাত গেলে উনার শরীরে না লেগে স্ত্রী ঝর্ণা শুক্ল বৈদ্য গলার নিচে আঘাত লেগে যায়। তিনি ভীষণ চোট পান। উনাকে নিয়ে রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা বলে শিলচর মেডিকেল কলেজে একবার দেখিয়ে নিতে। এরপর আহত পরিবারের লোকেরা ঐদিন মেম্বার লিটন দাস , মিটন দাস, গন্দু দেব, বাপ্পা দেব ও মান্টি দাসের উপর মারধরের অভিযোগ এনে রামকৃষ্ণনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ আজ পর্যন্ত তাদের আটক করেনি। পরিবার সহ এলাকার মানুষ বলে দিয়েছেন যে আগামী এক সপ্তাহের ভিতরে যদি অভিযুক্ত কে ধরা না হয় তাহলে তারা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। । রবিবার ভুক্তভোগী পরিবার নিউজ অবিকলের সাংবাদিকের সামনে তাদের উপরে হওয়া অন্যায়ের পুরো তথ্য তুলে ধরেন যথাক্রমে কারণ্য শুক্ল বৈদ্য, লাবণ্য শুক্ল বৈদ্য, ঝর্ণা শুক্ল বৈদ্য, মতিলাল দেব ও মিলন দাস। এছাড়াও এদিন গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রথীন্দ্র দাস, হিমাংশু দাস, সুধীর চক্রবর্তী, মহেশ শুক্ল বৈদ্য, কালিচরণ চক্রবর্তী, ভৈরব দাস, বাপন দাস, সতু নমশূদ্র, অরবিন্দ শুক্ল বৈদ্য, গোবিন্দ দাস, বারিন্দ্র দাস, রুপম দাস, বিভাস চন্দ্রা । রামকৃষ্ণনগর থেকে শ্যামল আচার্যের রিপোর্ট ।