তীরে এসে তরি ডুবলো কংগ্রেস প্রার্থী হাফিস রশিদ আহমেদ চৌধুরীর। সংগে পরাজয়ের হেট্রিক গড়লেন আইনজীবী হাফিজ। কৃপার ডুবন্ত নৌকা কে রক্ষা করলেন পাথারকান্দির গনদেবতারা। দ্বিতীয় বারের মত সাংসদ নির্বাচন হওয়ায় আনন্দ উল্লাস পাথারকান্দির বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই ভোট গণনা দেখছিলেন পাথারকান্দি সমষ্টির জনগণ। বেলা যতই বাড় ছিল ততই একদিকে স্নায়ুর চাপ বৃদ্ধি হচ্ছিল আবার ভোটের হার কম বেশী হওয়ায় আনন্দিতও হচ্ছিলেন বিজেপি সমর্থকরা।সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার হওয়ার পর বাজি পটকা ফাটিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন সমর্থকরা। বাজি পটকা পোড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে আবির খেলতে দেখা যায় সমর্থকদের। সকল জল্পনার পর সংরক্ষণ মুক্ত করিমগঞ্জ আসনে ফের কৃপা বাবুর জয় নিয়ে রীতিমত খুশির জোয়ার বইছে পাথারকান্দি জুড়ে ।এদিকে করিমগঞ্জ আসনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পাথারকান্দি সমষ্টির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল
ফের জয়ী হলেন কৃপানাথ ,পরাজয়ের হ্যাট্রিক করলেন কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী।
সমর্থকদের কে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা যায়। অনেকেই আগে থেকেই মিষ্টি সহ বাজি পটকা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন আনন্দ উল্লাসের জন্য। পাথারকান্দির মানুষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন এই কথা ফের একবার প্রমাণ হলো, দুহাত তুলে মন উজাড় করে ভোট দিয়েছেন কৃপাবাবু কে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখক ভোট কাস্টিং হয়েছে ভোট কেন্দ্র গুলোতে। ঐতিহাসিক ভোট কাস্টিং বললেও ভুল হবে না।বিগত পাঁচ বছরে পাথারকান্দি সমষ্টির তেমন কাজ করেন নি কৃপানাথ মাল্লা তারপর ও আগামী পাঁচ বছর কাজ করবেন বলে এই আশা রেখে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু সবাই ভোট দিয়েছেন কৃপানাথ মাল্লা কে।কৃপাবাবু এই সমষ্টিতে প্রচারে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবার আমাকে নির্বাচিত করলে কাজ হবে এই আশা দিয়ে ভোট ভিক্ষা চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য কৃপানাথ মাল্লার এই ঐতিহাসিক জয়ে সমষ্টির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের যথেষ্ঠ অবদন রয়েছে। আগামীদিনে এই সমষ্টির উন্নয়নে কতটুকু কাজ করছেন এটাই হবে দেখার বিষয়!তবে গত পাচঁ বছরের মতো আগামী পাচঁ বছরও যদি অকর্মন্য সাংসদের শিরোপা নিয়ে কাজ করেন তবে আগামী নির্বাচনে এই ভুলের খেসারত যে তাকে দিতে হবে তা সহজেই অনুমেয়। ব্যুরো রিপোর্ট ।