ভৈরবনগর মন্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দাসকে তাঁর বাড়ির সামনে প্রাণঘাতী হামলা।ঘটনার পর পুরো শনবিল অঞ্চল সহ ভৈরবনগর মন্ডল এলাকাজুড়ে তীব্র সমালোচনা। প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।ষড়যন্ত্র করেই রাজেশ দাসের উপর হামলা ধারণা অনেকের।শাসক সহ বিরোধী দলের অনেকেই এই ঘটনায় তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাত বারোটায় এমনি অমানবিক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল শনবিল কালীবাড়ি এলাকায়।ভৈরব নগর মন্ডল বিজেপির সম্পদকে প্রাণে মারার চেষ্টা চালিয়েছেন স্বদলীয় এক ব্যক্তি রণজিৎ দাস সহ আর দুই। এ নিয়ে শুক্রবার সকাল শনবিল এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি দলের সদস্য রণজিৎ দাসকে।তবে বাকি দুজন এখন পর্যন্ত পলাতক।এই ঘটনা নিয়ে শনিবার শনবিল পূর্বাঞ্চন সহ ভৈরবনগর মন্ডলের বহু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে প্রতিক্রিয়ার ঝড়।এদিকে ধৃত রঞ্জিত দাস বিজেপির সদস্য সহ গামারিয়া এপি সদস্যর পাশাপশি আনন্দপুর কো অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।আর রণজিৎ দাসের গ্রেফতার সহ রাজেশ দাসের উপরে চলা প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন আনন্দপুর কো অপারেটিভ সোসাইটির বোর্ড অফ ডাইরেক্টরের সদস্য বিজিত দাস। তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা নিয়ে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান প্রশাসনের নিকট। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তেমনভাবে শাস্তি প্রদান করা হোক।এবং এই ঘটনা নিয়ে পুরো তদন্ত করা হোক এই দাবি জানিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুদ্ধ দাস রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হওয়া বা কে কোন দলে কাজ করবে সে, সেটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। বলেন,তিনি কংগ্রেস দলের এবং রাজেশ দাস বিজেপি দলের সাথে যুক্ত।তবে রাজেশ দাসের উপর চলা প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানান।রাতে একা বাড়ির সামনে গিয়ে তিন জনের আকষ্মিক হামলা রাজেশ দাসের উপর। তাঁর ধারণা এসব পূর্ব পরিকল্পিত। আর এসবের পিছে মাস্টার মাইন্ড অন্য রয়েছে।অর্থাৎ রাঘব বোয়াল রয়েছে এই পরিকল্পনায়।এমন অমানবিক ঘটনা শনবিলে এর পূর্বে শনবিলে হয় নি।রাজেশ দাসের ঘরে গিয়ে তাকে দেখতে গেলে প্রসেনজিৎ দাস, রঞ্জিত দাস সহ আর একজনের কথা বলেছে।তবে যদি এটা দোষী হয় তাহলে এদের বিরোদ্ধে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ব্যুরো রিপোর্ট।