২০০ কোটি টাকার সম্পত্তির গরিবদের বিলিয়ে দান করে সন্ন্যাস নিলেন গুজরাটের এই ধনী দম্পতি। আর সেই ভিডিওই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের পর্দায়। আলিশান বাড়ি বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি ছেড়ে আজ খালি পায়ে রাস্তায় এই যুগল রথে করে নিজেদের ধোনি জীবনযাপনের শেষ দিনের যাত্রা করলেন। গরিবদের উদ্দেশে বিলিয়ে দিলেন জামা কাপড় থেকে টাকা । অবাক হবেন? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত হওয়ার দৌড়ে সকলের সেখানে
বিলাসী জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন কেন এই দম্পতি?This couple embraced asceticism by renouncing a life of luxury.
গুজরাটের ভবেশ ভাণ্ডারী এবং তাঁর স্ত্রী কেন করলেন এমনটা। সাংসারিক মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হওয়ার কারণটাই বা কী? চলুন তাহলে সবটা শুরু থেকেই শুরু করি । ভাবেশ স্বচ্ছল পরিবারে বড় হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল জীবনের সঙ্গে পরিচিত তিনি। এককথায় পরিচয় করাতে গেলে বলতে হয়, গুজরাটের হিম্মতনগরের প্রখ্যাত নির্মাণ ব্যবসায়ী ভবেশ ভাণ্ডারী । এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজেদের সমস্ত ধন সম্পদ দান করেছেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী। যা কিছু সাংসারিক এবং পার্থিব সুখের সঙ্গে জড়িত। তা থেকে নিজেদের মুক্ত করেছেন তাঁরা। আর এবারে হাঁটবেন তপস্যার
বিলাসী জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন কেন এই দম্পতি?This couple embraced asceticism by renouncing a life of luxury.
পথে। তারা এই পথ অনুসরণের কারণে সারা ভারত খালি পায়ে পরিক্রমা করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে ইতোমধ্যেই তাঁরা সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করেছে। খালি পায়ে সামান্য বস্ত্রে হাতে কেবল একটি ভিক্ষাপাত্র নিয়ে ভিক্ষা করেই বাকি জীবন চালাবেন এক সময়ের এই ধ্বনি যুগল। সমস্ত স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে দিয়ে কেবলমাত্র তিনটি জিনিস তারা নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারবেন। তা হলো একটি ভিক্ষাপাত্র সাদা পোশাক আর একটি ঝাটা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে মিছিল এগিয়ে চলেছে। আর ওই দম্পতি নিজেদের সম্পত্তি বিলিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সমস্ত জিনিসপত্র এবং অর্থ দান করার জন্য চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। আসলে ভবেশবাবুর দুই সন্তান রয়েছে ১৬ বছরের একটি ছেলে এবং ১৯ বছরের এক মেয়ে। তাঁরা দুজনেই ২০২২ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন, আর তারপরই ভবেশ
বিলাসী জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন কেন এই দম্পতি?This couple embraced asceticism by renouncing a life of luxury.
এবং তার স্ত্রী ঠিক করেন, তাঁরাও এবারে সন্ন্যাস নেবেন। সন্তানদের থেকেই তাঁরা জাগতিক মোহ ছেড়ে আধ্যাত্মিক পথে পা রাখার। অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তাঁদের এই দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সঙ্গে নেওয়ার কথা দুটি সাদা পোশাক একটি ভিক্ষাপাত্র আর একটি ঝাড়ু । কোথাও বসার আগেও ঝাড়ু দিয়ে সেই স্থানটি ঝেড়ে নেন সাধকেরা, যাতে করে তাদের জন্য কোনও কীট পতঙ্গের মৃত্যু না ঘটে। গুজরাটে দম্পতির এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। অর্থদানই নয় শুধু নিজেদের সমস্ত সুখ, বিলাসীতাকেও পেছোনে ছেড়ে যাচ্ছেন ভবেশ ভাণ্ডারী এবং তাঁর স্ত্রী। গুজরাটের খবরে ব্যবসায়ী এবং তাঁর স্ত্রী বর্তমানে প্রার্থীদের সমস্ত জিনিসের প্রতি সংযোগ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে। এমনকী সাথে মোবাইলটুকুও থাকবে না তাঁদের কাছে। তবে এই রকম ঘটনা কিন্তু প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালে এক
বিলাসী জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন কেন এই দম্পতি?This couple embraced asceticism by renouncing a life of luxury.
কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী এবং তাঁর স্ত্রীও সব সম্পত্তি বিসর্জন দিয়ে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। আসলে একটা সময়ের পর এভাবেই বোধহয় কিছু কিছু মানুষ বুঝতে পারেন জীবনে যতটুকু পেয়েছেন ততটুকুই যথেষ্ট। না আর নয়, প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অর্থ সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পেয়ে বহু মানুষই তার অপব্যবহার করে থাকেন। তবে ভবেশ ভাণ্ডারী এবং তাঁর স্ত্রীর মত বেশ
বিলাসী জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন কেন এই দম্পতি?This couple embraced asceticism by renouncing a life of luxury.
কিছু মানুষ রয়েছেন আমাদের আশপাশে যারা সময়ের সাথে সাথে বুঝতে পারেন এতটা বোধহয় সত্যিই প্রয়োজন নেই। মানুষ জন্মানোর সময় সত্যি তো কোনও কিছু নিয়ে আসি আর এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার সময়ও কিছুই নিয়ে যেতে পারে না। তাই না? ন্যাশনাল ডেস্ক রিপোর্ট নিউজ অবিকল।