এই শহরে থাকলে এক বার হাসতে হবে,আইনী নির্দেশ দিলো প্রশাসন।এ শহরে থাকতে গেলে দিনে একবার হাসতে হবে, এটাই আইনগোমরা মুখের মানুষের এ শহরে জায়গা নেই। এ শহরে থাকতে গেলে দিনে কম করে এবার হাসতেই হবে। এটাই নতুন আইন।এ শহরে সুকুমার রায়ের একুশে আইনের জায়গা নেই। বরং এখানে উল্টোটাই হয়। এ শহরে থাকতে গেলে হাসতে হবেই। এটা কোনও পরামর্শ বা বার্তা নয়, দস্তুরমত নির্দেশ। সদ্য এমন এক আইন প্রণয়ন হয়েছে জাপানের ইয়ামাগাতায়। এখানে বসবাসকারী মানুষজনকে দিনে কম করে একবার হাসতেই হবে।মানুষের হাসিকেও যে আইনের আওতায় ফেলা যায় তা বোধহয় এই প্রথম দেখল বিশ্ব। তবে এটাকে ফতোয়া না ধরে বরং শহরবাসীর উপকারের চিন্তা করেই পদক্ষেপ হিসাবে ধরছেন বিশেষজ্ঞেরা।কারণ জাপানেরই একটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে জানিয়েছিল শরীরকে ভাল রাখা এবং মনের স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখার জন্য হাসি অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন হাসাটা শরীরের পক্ষে উপকারি।সেই গবেষণার কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করল ইয়ামাগাতা প্রশাসন। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী
এই শহরে থাকলে এক বার হাসতে হবে,আইনী নির্দেশ দিলো প্রশাসন।If you live in this city, you must laugh once; administration gave legal direction.
প্রতিটি শহরবাসীকে প্রতিদিন অট্টহাস্য বা চাপা হাসি, কিছু না কিছু উপায়ে হাসতেই হবে। এছাড়া প্রতি মাসের অষ্টম দিনটিকে হাসির মধ্যে দিয়ে সুস্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালন করতে হবে ইয়ামাগাতার বাসিন্দাদের।ইয়ামাগাতা প্রশাসন শহরের প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছেও জানিয়ে দিয়েছে কর্মস্থলে যেন হাসির পরিবেশ বজায় থাকে। কর্মীরা সকলে যেন হাসতে পারেন। এটা নিশ্চিত করতে হবে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তাদেরই।কম হাসি মানুষের জীবনে নানাধরনের সমস্যা ডেকে আনছে বলে মনে করে হাসির মধ্যে দিয়ে ভাল থাকার যে পথ ইয়ামাগাতা দেখাল তা আপাতত অবাক করা হলেও এটাই ভবিষ্যতে পথ দেখাতে পারে বিশ্বের অন্য শহরগুলিকে। জাপানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সহ বিশ্বের তাবড় পত্রিকায় এই হাসির আইনের খবরটি হইচই ফেলে দিয়েছে। এই শহরে থাকলে এক বার হাসতে হবে,আইনী নির্দেশ দিলো প্রশাসন।ব্যুরো রিপোর্ট নিউজ অবিকল।