দরজা ছাড়াই প্রতিটি ঘর এই গ্রামের, কিন্ত কখনও চুরি হয়না এখানে।এখানে কোনও বাড়ির দরজা নেই, সারাক্ষণ খোলা, তবু চুরি হয়নাদেশের এই গ্রামে গেলে দেখা যাবে যত বাড়ি রয়েছে তার কোনও বাড়ির দরজা নেই। সদর হাট করে খোলা। তবু এখানে কারও বাড়িতে চুরি হয়না।এদেশেই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে একের পর এক বাড়ির বাসিন্দারা বাড়িতে থাকেন ঠিকই, কিন্তু বাড়িতে কোনও দরজা বানান না। বাড়ির দরজা বন্ধ রাখারও তাই প্রশ্ন ওঠেনা। বাড়িতে তাঁরা থাকুন বা না থাকুন, দরজা ছাড়া সদর সব সময়ই খোলা।কোনও তালারও বন্দোবস্ত নেই। বাড়ির দরজা বন্ধ করে তালা লাগিয়েও চোরদের ঠেকানো যায়না অনেক সময়। অথচ এখানে কারও বাড়িতেই চুরি হয়না। এখানে চুরি কাকে বলে কেউ জানেননা।মহারাষ্ট্রের এই গ্রামের নাম শনি শিঙ্গনাপুর। এখানে রয়েছে এক প্রাচীন শনি ঠাকুরের মন্দির। বড় ঠাকুরের এই মন্দির এই গ্রামের সবচেয়ে বড় ভরসা।গ্রামের মানুষের বিশ্বাস বাড়িতে দরজা থাকার দরকারই নেই। কারণ এখানে চুরির ভয় নেই। শনি দেবতা সকলকে রক্ষা করেন। তাঁদের সম্পদ রক্ষা করেন। শনি দেবতার ভয়ে কেউ এ গ্রামে চুরি করতে আসারও সাহস পায়না।প্রতিবছর এ গ্রামে বহু দূর থেকেও মানুষ আসেন শতাব্দী প্রাচীন শনি মন্দিরে পুজো দিতে। এ মন্দিরটি খোলা আকাশের নিচেই অবস্থিত। গ্রামবাসীরা চাইলে এ মন্দিরের উপরে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতেই পারতেন।কিন্তু প্রাচীন বিশ্বাস যে এ মন্দিরকে এমন খোলা আকাশের নিচেই থাকতে দিতে হবে। এখানে রয়েছে কষ্টি পাথরের বিগ্রহ। যে বিগ্রহ কেউ তৈরি করেননি। তা নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল। এটাই স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস। দরজা ছাড়াই প্রতিটি ঘর এই গ্রামের, কিন্ত কখনও চুরি হয়না।ব্যুরো রিপোর্ট নিউজ অবিকল।