এই গরম থেকে রক্ষা পেতে এসি কিনতে পারছেন না? কিংবা ছাদে শেড দিতেও পকেটে টানাটানি? দরকার নেই এবার মাত্র ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করলেই আপনার ঘরও ঠাণ্ডা হয়ে যাবে এক নিমেষেই হ্যাঁ এটাই বাস্তব। এই তীব্র গরমে হাসফাঁস করার দিন এবার শেষ৷ এই মুহূর্তে গোটা দেশ জ্বলছে এই গরমের দাপটে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু দুঃখের বিষয় সবার সামর্থ্য থাকে না বাড়িতে এসি বা কুলার কিনে লাগানোর কিংবা ঘর ঠান্ডা রাখতে ছাদে শেড দেওয়ার সামর্থ্য সবার নেই। আর সেই সমস্ত মানুষগুলোর কথা ভেবে আমরা প্রেরণাদায়ক তথ্য আপনাদের সামনে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরলাম। এসি ছাড়াও ঘর
এই তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা কীভাবে রাখবেন ?
ঠান্ডা রাখার একটি সহজ উপায়। এই প্রচণ্ড গরমে ঘরের তাপমাত্রা কীভাবে কমাবেন সেটা জানার জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে শুনুন। পদার্থবিদ্যার শিক্ষক শান্তনু চক্রবর্তী তার সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন এই প্রচণ্ড গরমে একতলা বাড়ি অ্যাজবেস্টারের বাড়ি কিংবা যে কোনও পাকা বাড়িতে শান্তিতে থাকবার একটি দুর্দান্ত সহজ উপায় আর তার জন্য আপনাকে বাজার থেকে কিনে আনতে হবে মাত্র ৪
এই তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা কীভাবে রাখবেন ?
টি উপকরণ। ভালো কোনও হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে কিনে আনুন পাথুরে চুন বা কলিচুন, জিঙ্ক অক্সাইড, ওয়াইট সিমেন্ট এবং ফেবিকল এই বার ওই পাথুরের চুনকে পরিষ্কার একটি টিনের বা লোহার বালটিতে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন, একবার এই পাথুরে চুন ভিজিয়ে দেওয়ার পর আর কিন্তু তারমধ্যে হাত দেওয়া যাবে না। পাথুরে চুন সারা রাত ভেজাবার পর সেটি কলিচুনে পরিণত হবে। আর যদি কেউ বাজার থেকে সরাসরি কলিচুন কিনে আনেন সেক্ষেত্রে কলি চুন কে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখার দরকার নেই। এই দিনই মিশ্রণটি বানানো যাবে। এরপর সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠে কোনো কিছুর সাহায্যে একবার যাচাই করে দেখে নেবেন ভেজানো পাথুরে
এই তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা কীভাবে রাখবেন ?
গরম রয়েছে কি না। আসলে পাথুরে চুন জলের সংস্পর্শে এলে ভীষণ উত্তপ্ত হয়ে যায়। তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে তবেই এগোবেন। এরপর ভোরের আলো ফোটার আগে ওই কলিচুনে মিশ্রণটির মধ্যে বাকি সব উপকরণগুলো একে একে মিশিয়ে একটি গাঢ় তরল তৈরি করবেন। কিন্তু তার আগে মনে করে ছাঁদটি ভালো করে পরিষ্কার করে রাখবেন এবং তারপর একটি পাত্র দিয়ে ওই সাদা তরলটিকে ছাদে ফেলে একটি ঝাঁটা দিয়ে সারা ছাদে ফেপে দেবেন। ঠিক যেমন করে ধান ঝাড়াইয়ের আগে গোবর জল দিয়ে উঠোনে
এই তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা কীভাবে রাখবেন ?
ঘোলা মারা হয় খানিকটা ওইরকমই৷ এবার আপনি জেনেনিন এই সাদা তরলটির হিসেব শান্তনু চক্রবর্তীর মতে। আপনার ঘর যদি ১১ বাই ১৩ হয় তাহলে সেই রুমের জন্য আপনি ৫ কেজি পাথর চুন বা কলিচুন নেবেন। সঙ্গে নেবেন দেড় কেজি হোয়াইট সিমেন্ট এবং ২ কেজি তরল ফেবিকল। সঙ্গে নেবেন এক কেজি জিঙ্ক অক্সাইড । জিঙ্ক অক্সাইড যেহেতু ছাদে ব্যবহার করবেন তাই খুব বেশি দামে জিনিস কেনার দরকার নেই। আর একান্তই যদি জিঙ্ক অক্সাইড দোকানে খুঁজে না পান তাহলে বাকি উপকরণগুলো বেশি মাত্রায় মেশাবেন। তার মেয়াদ থাকবে এক থেকে দেড় বছর । বর্ষার জল পেলে কিন্তু এটা ধীরে ধীরে ধুয়ে যাবে তবে ভয় নেই। এতে আপনার ছাদের কোনও ক্ষতি হবে না। শিক্ষক শান্তনু
এই তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা কীভাবে রাখবেন ?
বাবু এই পদ্ধতি হাতেকলমে প্রমাণিত এবং নিরাপদ এবং তিনি নিজেও এই পদ্ধতি মেনে যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কথা মেনে আরও অনেকেই এই পদ্ধতি মেনে ঘর ঠাণ্ডা করেছেন। হয়তো এসি বা কুলার মতো অতটা ঘর ঠান্ডা হবে না। কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রা থেকে পাঁচ ডিগ্রি কমে যাবে এবং প্রচন্ড গরমের দিনে সিলিং ফ্যান চালালে আগুনের তাপ নেমে এসে ঘরের বিছানা সব গরম করে দেয় তা আর হবে না৷ এবং একই সাথে ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটা। আরেকটা বিষয় জেনেনিন যাঁদের বাড়িতে আগে থেকেই রয়েছে তারাও যদি এই উপায় অবলম্বন করেন তাহলে এসিতেও লোড কম পড়বে। এছাড়াও এই গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সকাল সকাল ঘরে সমস্ত পর্দা টেনে দিন যাতে রোদের তাপ ঢুকতে না পারে। সন্ধের আগে জানালা খুলবেন না।সময়ে ভারী সুতির পর্দা ব্যবহার করুন। সারা দিনে ২ থেকে ৩ বার ঘর মুছুন, ঘরের ভেতরে কোথাও ইনডোর গাছ রাখতে পারেন। এছাড়াও টেবিল ফ্যান চালিয়ে এক বাটিতে বরফ সামনে রেখে দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন কয়েক মিনিটে ঘর ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। আর যাদের টিনের বাড়ি রয়েছে তাঁরা যদি কোনও ওয়েদার প্রুফ সাদা রং কিনে বাড়ির চালে রং করে দেন তাহলে অনেকটা ঠান্ডা থাকবে ঘর। আর যাদের টালির চাল তাঁরা এই সময়ে চালের ওপর খড়ের আখী বা নারকেল কিংবা খেজুর গাছের শুকনো পাতা ছাপিয়ে দিন। আর সেগুলোকে রোজ ভাল করে জলে ভিজিয়ে দিন। দেখবেন তাতে কিছুটা হলেও কষ্ট কম হচ্ছে। এই গরমে পরিস্থিতি আমাদের সকলেরই হাতের বাইরে। তাই সবাই খুব সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই গাছ লাগান। এই গরমে জল খান , ফল খান, সুস্থ থাকুন।নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট।