মেগী খাওয়ার পূর্বে একশবার ভাবুন। আপনিও খেতে ভালোবাসেন কি মেগী ? আপনার সন্তানকেও খাওয়ান না কি মেগী ? তাহলে সাবধান হয়ে যান। এই মেগী বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে আপনারও । মেগী প্রেমিকদের জন্য এসে গেল একটি ভয়ংকর বিপদ। মেগী খেয়ে মৃত্যু দুই শিশুর এবং ৮ জন লোক গুরুতরভাবে অসুস্থ। কোথায় ঘটেছে এই দুঃখজনক ঘটনা? বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি ভালোভাবে দেখুন। সঙ্গে এই ভিডিওটি আপনার আপন জনের সঙ্গে শেয়ার করুন। উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে এই শোকাবহ ঘটনা। ভাত এবং মেগী একসঙ্গে খাওয়ার পর দুটি পরিবারের দুটি শিশু সহ ৬ জন লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। একটি শিশুর স্বাস্থ্যের অধিক অবনতি হওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু ঘটে। পরিবারের লোকদের কথা অনুযায়ী ভাত এবং মেগী একসঙ্গে খাওয়ার পর ওই পরিবারের লোকরা বমি এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। পরিবারের পাঁচজন লোক বর্তমানে চিকিৎসালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকের মতে খাদ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার ফলে লোকগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সন্দীয়া হাজেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রাহুলনগর গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা সনু এবং তার শ্বশুর একই ঘরে বাস করেন। সনুর ভাইয়ের স্ত্রী সঞ্জনায় প্রকাশ করা মত অনুযায়ী সন্ধ্যাবেলা ঘরের সবাই ভাত এবং মেগী একসঙ্গে খেয়েছিল। কিছু সময় পর ঘরের সবাই বমি এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তারপর সবাইকে সান্ধিয়া হাজেরা গ্রামের চিকিৎসালয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসার পর তাদের সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে দেওয়া হয়। সঞ্জনার কথা অনুযায়ী ঘরে ফিরে আসার পর পুনরায় সবাই বমি করতে থাকে। এই সময়েই সোনুর পুত্র রোহনের মৃত্যু হয়। হাজেরা পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারি হরেন্দ্র সিং বলেন খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার জন্য শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা আধিকারি সতীশ কুমার এবং শান্তনু কুমার গ্রামটিতে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মেগীর নমুনা সংগ্রহ করেন। সোনুর ঘরের পাশে একটি চিকিৎসা শিবির স্থাপন করা হয়। মুখ্য ফার্মেসিস্ট সুশান হালদারের তত্ত্বাবধানে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। এবং আরো ১২০ জন লোককে পরীক্ষা করার পর ঔষধ বিতরণ করা হয়।ব্যুরো রিপোর্ট নিউজ অবিকল