পাথারকান্দির কাবাড়িবন্দ গ্রামের জহরুল ইসলামের পুত্র বিলাল উদ্দিনের প্রেম চলছিলো বাড়ি থেকে পাচঁ ছয় কিলোমিটার দূরবর্তী এক গ্রামের এক নাবালিকার সাথে।কিন্তু দীর্ঘ প্রেমের পর আর প্রেম প্রেম ভালো লাগছিলো না চার হাত একহতে বিলাল ও তার প্রেমিকা সহমত হয়। কিন্তু বিলালের প্রেমিকা যে প্রাপ্ত বয়স্ক নয় কিন্তু তাতে কি? মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি । একসময় উভয় পরিবারও তাদের উৎপাত দেখে বিয়েতে সন্মতি দিয়ে দেয়। বিয়ের দিন ছিলো সোমবার অর্থাৎ গতকাল রাতে । বিয়ের খবর পেয়ে কাজি সাহেবও চিরাচরিত পোশাকে হাজির। চলছে বিয়ের
অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে ভেস্তে দিলো পুলিশ।বরযাত্রীরা হলেন জেলের অতিথি !
অনুষ্ঠান। এত সময় সবকিছু ঠিকঠাকেই চলছিলো। কবুলও শেষ । নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে এ সংক্রান্ত খবর আসে পাথারকান্দি পুলিশের কাছে। যাবতীয় সমস্যার সৃষ্টি তখন থেকেই। খবর পাওয়ার পর পাথারকান্দি থানার এসআই আশিষ মহোন্ত দলবল সংগে মহিলা পুলিশ নিয়ে হাজির বিয়ে বাড়িতে। তখনো বরপক্ষ বা কন্যা পক্ষ কেউ ভাবতেই পারেনি তাদের বিয়ে ভেস্তে যেতে পারে। না ভাবা ঘটনাই শেষ পর্যন্ত সংগঠিত হলো। পুলিশ গিয়ে বয়সের প্রমানপত্র দেখতেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায় যে কন্যা আসলে নাবালিকা। পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি আটক করে জামাই সাজে বিয়ের পিড়িতে বসা বিলাল উদ্দিন কে শুধু কি তাই বিয়ের কাজি, নাবালিকার পিতা,বরের মামা,নাবালিকার মামা,বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়া ব্যাক্তি সহ গাড়ি চালকো রেহাই পায়নি সবাইকে পাথারকান্দি পুলিশ গ্রেফতার করে। আটক হওয়ারা যথাক্রমে বিলাল উদ্দিন,সাব্বির উদ্দিন,দিলোয়ার
অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে ভেস্তে দিলো পুলিশ।বরযাত্রীরা হলেন জেলের অতিথি !
হোসেন,আসাব উদ্দিন,নিজাম উদ্দিন,ছাদ উদ্দিন,আলি হোসেন, মাতাবুর রহমান। এদের আজ পাথারকান্দি পুলিশ আদালতে তুললে আদালতের নির্দেশে বাল্যবিবাহে জড়িত থাকার অভিযোগে জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দেয়। তাই বলি নিমন্ত্রণ পেলেই না বুঝেশুনে বিয়ে বাড়িতে যাবেন না না হলে আপনিও হতে পারেন জেলের অতিথি। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক কাউকেই বিয়ে করতে যাবেন না, না হলে আপনিও সোহাগ রাতের দিন থাকবেন জেলের চার দেওয়ালে বন্দি। এদিকে পাথারকান্দি পুলিশ নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে সমঝে দেয়৷