কিছু দিন থেকে শ্রমিক বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে পাথারকান্দি সমষ্টির একাধিক চা বাগান। শ্রমিকরা সাত দফা দাবি নিয়ে প্রত্যেকদিন পাথারকান্দির কোনো না কোন বাগানে চালাচ্ছে শ্রমিক বিক্ষোভ।শ্রমিকরা নিজের পাওনা দাবী নিয়ে কখনও ছুটছেন এটিসিএল কৃর্তৃপক্ষের কাছে তো কখনও জেলাশাসকের কাছে কখনও বা স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের কাছে। কিন্ত দীর্ঘ আজ ১২ দিন বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা নিজের দাবী নিয়ে সরব হলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না তাদের। কোনো কোনো বাগান প্রবন্ধক আশ্বাস দিচ্ছেন যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করবেন আবার কোনো বাগান প্রবন্ধক বলছেন লোকসভা নির্বাচনের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উক্ত সমস্যার সমাধান করবেন।এদিকে ইচাবিল চা বাগানের শ্রমিকরা আজ করিমগঞ্জ জেলাশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলাশাসক মৃদুল কুমার যাদবের হাতে সাত দফা দাবি সম্মিলিত স্মারক পত্র তুলে দেন। তাদের দাবি গুলো হলো অসম সরকারের সরকারিভাবে ঘোষণা করা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৮৩ টাকা থেকে ২২৮ টাকা করা।,চা শ্রমিকদের মজুরীকৃত বর্ধিত হারের বকেয়া মজুরি এককালীন প্রদান করা। চা শ্রমিকদের পিএফ বদলীতে ছয় সাত বছর যাবৎ অস্থায়ীভাবে যাঁরা কাজ করেছেন তাদেরকে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ।প্রতিজন শ্রমিককে পূর্বের মতো ৫৪ পয়সা কিলো গ্রাম তিন কেজি রেশন দেওয়া। ষ্টাফ বা বেতন ধারীদের বর্ধিত হারের বেতন প্রদান করা।শ্রমিকদের বছরে ছাতা, ত্রিপাল,কম্বল ইত্যাদি মৌলিক ভাবে প্রদান করা। চা শ্রমিকদের ২০০৫ ইংরাজি বকেয়া টাকা এককালীন দেওয়া,ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে সমূহ দাবী গুলো একত্রিশ মের মধ্যে পূরণ না হলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঙ্কার প্রদান করেছেন চা শ্রমিকরা।ব্যুরো রিপোর্ট নিউজ অবিকল।