জননেতারা বলে থাকেন রাজনীতিতে আসার কারন সমাজের সেবা করা মানে সমাজসেবা । আর এই সমাজের সেবা করেই আজ জিপি সভাপতি থেকে বিধায়ক এবং দ্বিতীয় বারের জন্য গেরুয়া দলের মনোনয়নে তিনি প্রতিদন্ধিতা করেছেন। তিনি আমাদের জননেতা সমাজসেবক কৃপানাথ মাল্লাহ। ঘূর্ণিঝড় রেমেলের তাণ্ডবে দিশেহারা করিমগঞ্জ জেলার মানুষ। এমতাবস্থায় সাংসদ কৃপানাথ মাল্লা নিজের লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিখোঁজ ! তিনি নাকি পরিযায়ী পাখির মতো করিমগঞ্জবাসীর সুখের সময় দেখা দেন এবং বন্যা, করোণা সহ বিভিন্ন মহামারীর সময় করিমগঞ্জ ছেড়ে অন্তর্দান হয়ে যান । এমনই হাস্যকর অভিযোগ জেলাবাসীর। তবে হা ঠিকই শুনেছেন আপনারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদী ফুলে পেঁপে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। বিপদ সীমার উপরে বইছে লঙ্গাই, কুশিয়ারা ও সিংলা নদীর জল।রেমেলের হুংকারে নদী-নালা থেকে শুরু করে ধানের পতিত জমি জলে থৈ থৈ অবস্থা। বাড়ি ঘর ছাড়া জেলার বহু পরিবার। টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে মূখ থুবড়ে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও। এমতাবস্থায় করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মাল্লা মানুষের পাশে থাকা তো দূরের কথা তিনি বরাক উপত্যকার বাইরে অবস্থান করছেন বলে খবর।মাত্র কিছুদিন হয়েছে লোকসভা ভোট সাঙ্গ হয়েছে ইতিমধ্যে সাংসদ এলাকা ছেড়ে নিখোঁজ হয়েগেছেন। ভোটের আগে তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন ভোট ভিক্ষার জন্য কিন্তু এই দু:সময়ে পাশে নেই সাংসদ। প্রশ্ন উঠছে তিনি সংসদ হয়ে কি এবার করিমগঞ্জবাসীর পাশে থাকবেন ? জেলার মানুষও কিন্তু বুক ভরা আশা নিয়ে ভোটের বাক্সে উনাকে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। গত বন্যা পরিস্থিতির সময়ও তিনি করিমগঞ্জ বাসীর পাশে ছিলেন না এমনকি করোণা মহামারীর সময় যখন মানুষ দিশেহারা তখন তিনি দিল্লিতে নিজের কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। বর্তমানেও একই অবস্থায় তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত দেখা গেলেও ময়দানে একবারও দেখা যায়নি। নিজের এই অকর্মণ্যতার কারণেই এবার টিকেট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু উনার ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে এক ঝাঁক মন্ত্রী,বিধায়ক ও বিজেপি নেতৃত্বরা উনার হয়ে প্রচারে নামতে বাধ্য হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন নির্বাচনে কৃপা নাথের কষ্ট খুবই বেশী হয়েছে তাই এখন তিনি টানা বিশ্রামে আছেন। আসলে একেই বলে প্রকৃত জননেতা প্রকৃত সমাজসেবক। জয় হোক কৃপাবাবুর।
ব্যুরো রিপোর্ট ।