কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নদী বাঁধ নির্মাণে বৃহৎ অনিয়মের অভিযোগ। সিংলা নদীর করাল গ্রাসে বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত জনগণ। এক বছর পার হতে না হতেই জিও ব্যাগের অবস্থা বেহাল। কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার বিধায়কের ব্যবসায়ীক পার্টনার। অভিযোগ জানিয়ে লাভ নেই। ফলে উদাসীন জলসম্পদ বিভাগ । ২০২২ সনে জলসম্পদ বিভাগের অধীনে করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি সমষ্টির নিভিয়া নয় নম্বর ওয়ার্ডের সিঙ্গলা নদীর খনন প্রতিরোধের জন্য প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল তিন কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা, উদ্বোধন করেছিলেন জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। এবার
তথ্য ফলকে মন্ত্রী,বিধায়ক, সাংসদের নাম ছাড়া কোনো তথ্য নেই ফলকে।আড়ালে দুর্নীতির পাহাড় ঠিকাদারের।
কাজের ফলক নিয়ে মনে করেন ফলকে বরাদ্দ টাকা, মন্ত্রী এবং বিধায়কের নাম আছে ঠিক। কিন্ত নেই কোন বছর, নেই কাজের বিস্তারিত তথ্য। নেই ঠিকাদারের নাম। উল্লেখ্য বিতর্কিত এই ঠিকেদারের নাম হচ্ছে সুমন ধর। বিধায়কের সঙ্গে মিলে ক্রয় করেছিল চা বাগান। তারপর সি এম ভিজিলেন্স গুয়াহাটিতে ডেকে ছিল কয়েকবার। কিন্ত বিধায়কের ব্যবসায়ীক পার্টনার হওয়ায় রাজনৈতিক ক্ষমতায় বলবান ঠিকেদার সুমন ধরের বিরুদ্ধে সিএম ভিজিলেন্সের তদন্ত সম্ভবত স্থগিত। এবার এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আবার ও বাঁধ নির্মাণের বৃহৎ অনিয়মের অভিযোগে উত্থাপন হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের কাজ আরম্ভ থেকে স্থানীয় লোকজন নিম্ন মানের কাজের জন্য বিভাগীয় কতৃপক্ষের কাছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্ত কেনো গুরুত্ব দেয় নি। ফলে এ বছর জিও বেগ থেকে বালি বের হয়ে গেছে।
তথ্য ফলকে মন্ত্রী,বিধায়ক, সাংসদের নাম ছাড়া কোনো তথ্য নেই ফলকে।আড়ালে দুর্নীতির পাহাড় ঠিকাদারের।
এবার এই দৃশ্য দেখুন জিও বেগের অবস্থা বেহাল। জিও বেগ ঢেকে রাখার জন্য যে নেট ব্যবহার করা হয়েছিল এটাতে জল উঠে গেছে। নদীর স্রোত হ্রাস করার জন্য সিমেন্টের খুঁটি নির্মাণ করা হয়েছিল এখানে ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ। জনগণ বলেন এখন কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত হবে কী? বিধায়কের ব্যবসায়ীক পার্টনার হওয়ার জন্য সব মাফ হবে ? না মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তদন্তের নির্দেশ দিবেন। অন্যথা কয়েক কোটি ব্যয় হওয়ার পর ও জনগণের দুর্দশা মিটবে না বলে অনেকের ধারণা।ব্যুরো রিপোর্ট।