অন ডিউটি পুলিশ লেখা পোষ্টার লাগিয়ে এবং সাইরণ বাজিয়ে কাছাড়ের রাজপথে বিলাসী থার গাড়ি নিয়ে এক ভুয়ো পুলিশের অফিসার। রাত হলেই রাজপথে গাড়ি রেখে গুন্ডা টেক্স সংগ্রহ করছে ভুয়ো পুলিশের এই আধিকারিকরা ।প্রবঞ্চনার বলি হয়ে ভুয়া পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশ ওয়াচ পোস্টে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী লোকেরা। রাত হলেই কাছাড়ের রাজপথে বিলাসী থার গাড়ি নিয়ে গুন্ডা টেক্স সংগ্রহে নেমে পড়ে এক ভুয়া পুলিশ আধিকারিক। অন ডিউটি পুলিশ লেখা পোষ্টার লাগিয়ে, পুলিশের সাইরেন বাজিয়ে কাছাড়ের রাজপথে ঘুরে বিভিন্ন গাড়ি থেকে গুন্ডা টেক্স সংগ্রহ করে ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক। তারপর ভুয়ো পুলিশ ভুয়া পুলিশ আধিকারিকের আসল পরিচয় পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলো ভুক্তভুগী লোকরা। ফটোতে থাকা এই যুবক কাছাড়ের উধারবন্দ দয়াপুরের বাসিন্দা সাহিদ আহমেদ ওরফে ময়না মিয়া।
দেখতে সহজ সরল এই যুবকের কর্মকাণ্ড শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। সাহিদ আহমেদ নামের এই যুবকের একটি বিলাসী থার গাড়ি। অন ডিউটি পুলিশ লেখা এই থার গাড়ি নিয়ে রাত হলেই কাছাড়ের রাজপথে পুলিশ সেজে সাইরেন বাজিয়ে ঘুরে যুবকটি। এবং রাজপথে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে নিজেকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে গুন্ডা টেক্স সংগ্রহ করার অভিযোগে উথাপণ হয়েছে যুবকের বিরুদ্ধে। দেখুন এই দৃশ্যে কি ভাবে পুলিশের সাইরেন বাজিয়ে নিজের থার গাড়িতে লাগিয়ে রাজপথে সাইরেন বাজিয়ে ঘুরে বেড়ায় ভুয়া পুলিশ আধিকারিক সাহিদ আহমেদ। কেবল পুলিশের সাইরেন ই নয় সাহিদ আহমেদের থার গাড়িতে লেখা আছে অন ডিউটি পুলিশ। অভিযোগ মতে সাহিদ আহমেদ সহ আরো দুই যুবক রাত হলেই সাইরেন বাজিয়ে এই থার গাড়ি নিয়ে গুন্ডা টেক্স সংগ্রহে নেমে পড়ে।
রাজপথে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে গাড়ির নথিপত্র তল্লাশি চালায় এবং জরিমানার নামে গাড়ি গুলো থেকে সংগ্রহ করে টাকা। শুনেন এই ভুক্তভুগী যুবকের মুখে কিভাবে সে ভুয়া পুলিশ সাহিদের হাতে প্রবঞ্চনার বলি হয়েছিল। ভুক্তভোগী যুবকের অভিযোগ মতে ১৮ নভেম্বর রাতে সে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘরে যাওয়ার সময় কাছাড়ের মাছিমপুর অঞ্চলে পুলিশ লেখা থার গাড়ির সাইরেন বাজিয়ে দাড়িয়ে ছিল। থারে থাকা তিন জন যুবক তার গাড়ি সিগন্যাল দিয়ে বন্ধ করে। যুবকের মতে তিন যুবক নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তার বাহনে তল্লাশি আরম্ভ করে এবং গাড়িতে থাকা কলা পেপারিং এর জন্য যুবক কে ভুয়ো তিন পুলিশ জরিমানা করে ২০০০ টাকা।
তারপর যুবক পুলিশ ভেবে বাদ্য হয়ে দু হাজার টাকা দে ভুয়া পুলিশ কে। ঠিক একই ভাবে একজন অটো চালকের কাছ থেকে লাইসেন্স না থাকার জন্য জরিমানা নেয় ভুয়া পুলিশ আধিকারিক সাহিদ আহমেদ সহ তার বাহিনী। এদিকে সোসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়া পুলিশ আধিকারিক সাহিদ আহমেদের আসল পরিচয় পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভুগী লোকরা। সাহিদ আহমেদ সহ আরো দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ওয়াচ পোস্টে ভুক্তভুগীরা রজ্জু করে এক মামলা। সঙ্গে শীঘ্রই ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক সহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায় ভুক্ত ভোগিরা।