একশো শতাংশ বিকলাঙ্গ ছেলে থাকা সত্ত্বেও বিপিএল রেশন কার্ড থেকে নাম কেটে দিলো খাদ্য দফতর।এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন বিকলাঙ্গ যুবকের পিতা হারিস আলী। তিনি জানান,বিগত দু’বছর পূর্বে গন্ডাছড়া দেবনাথ পাড়া থেকে উত্তর জেলার বাগবাসা বিধানসভার অন্তর্গত কালাছড়া ব্লকাধীন লক্ষীনগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের করিমপাড়া এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। উনার চার সন্তানের মধ্যে এক ছেলে ছায়াদুর রহমান (১৮) জন্ম থেকে একশো শতাংশ বিকলাঙ্গ, অর্থাৎ যেমন হাঁটতে পারে না তেমনি কথাও বলতে পারে না। এমতাবস্থায় গন্ডাছড়া থাকাকালীন সময়ে সেখানে উনার বিপিএল কার্ড ছিল। কিন্ত উত্তর জেলায় স্থানান্তরিত করার পর কার্ডটি এপিএল এ পরিবর্তন হয়ে যায়। এনিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সন্মুখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এই বিষয়ে বাগবাসা বিধানসভার বিধায়ক যাদবলাল নাথ সহ খাদ্য দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে শাসক দলীয় অনেক নেতার দরবারে গেলেও কোনো ফল পান নি।তাই বাধ্য হয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একেবারে অসহায় দিনমজুর হারিস আলীর ঠিকানা একমাত্র একটি কুড়েঘর।নুন আনতে পান্তা ফুরানো হারিস দাবি করেন অনেক আগে থেকেই শাসক দলের একজন সক্রিয় কর্মী তিনি, তার পরও দলীয় অন্তর্ঘাতের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন। যাইহোক বিকলাঙ্গ ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মূখ্যমন্ত্রী তাদের এপিএল রেশন কার্ডটি পুনরায় বিপিএল করে দেন কি না এটাই এখন দেখার বিষয়!