পূর্ব ধলাইয়ে ঝড়ের তাণ্ডব। পালংঘাটে কয়েকটি ঘর ধূলিস্যাৎ।
পূর্ব ধলাইর পালংঘাট জিপি সহ আশেপাশের জিপি গুলিতে শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডব। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে দক্ষিণ কাছাড়ে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব ধলাইর পালংঘাট জিপির রুকনী ২য় খণ্ডের ছায়ারুন বিবি লস্করের কুড়ে ঘরের ছাদ উড়ে যায় এবং ঘরের বাঁশের বেড়া সম্পুর্ণ উড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঠিকঠাক করা হয়। ছায়ারুন নেছা লস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ২০১১ ইংরেজির তালিকায় নাম থাকলে রহস্যজনক ভাবে তার নাম কেটে যায়। তার পর আর তার আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম আসেনি আর ভাগ্যে তার ঘর জোটেনি।
এদিকে একই এলাকার এছাম উদ্দিন চৌধুরীর ঘর সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে পড়ে। ঝড়ের সময় কুড়েঘরটি পড়ে যাওয়ার ভয়ে অন্য ঘরে আশ্রয় নেন। ১৫ মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উনার ঘরটি সম্পূর্ণ ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। এছাড়া উনার ভাই ছাইর উদ্দিন চৌধুরীর ঘরটি ঝড়ের বাতাসে পশ্চিম দিকে ঝুকি নিয়ে সম্পুর্ণ বাকা হয়ে পড়েছে । আফছানা বেগম চৌধুরীর ঘরের ছাদের টিন উড়ে যায় এবং বৃষ্টি পড়লে তার ঘরে জল ঢুকে পড়ে। স্বামী হারা গৃহবধূ আফছানা দুটি শিশু সন্তান নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। প্রত্যেকেই এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যাতে অতিসত্বর তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর সহ সরকারি আর্থিক সাহায্যের দাবি জানান। এদিন এলাকার সমাজসেবী নুর হুসেন বড়ভুইয়া এবং সাবির আহমেদ বড়ভুইয়া পালংঘাট জিপি সচিব, পালংঘাট উন্নয়ন খণ্ড আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের কাছে এদের পুনর্বাসনের আর্জি জানান। উল্লেখ করা যেতে পারে এদিনের ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় গাছ পালা খসে ঘরের উপরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঘরের ছাদের টিন উড়ে অন্তত ৫/৬০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে।