হাতি মানুষের লড়াই থামাতে অভিনব উদ্যোগ হাতিদের রুখে দিতে পারে জল। এই অভিনব এক ভাবনাকে এবার জঙ্গলে কাজে লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এতে মানুষের প্রাণহানি কমবে হাতিরা এমনিতে দলবেঁধে নিজেদের মত থাকা প্রাণি। সাতে পাঁচে বড় একটা জড়ায় না। কিন্তু তারা কোনও কারণে লোকালয়ে হানা দিলে সর্বনাশ। ফসল তছনছ করবে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে বাড়িঘর। এমনকি সামনে পড়লে মানুষের প্রাণও নির্দ্বিধায় কেড়ে নেবে।পাল্টা এভাবে হাতিরা হানা দিলে মানুষও ছেড়ে কথা বলেনা। তারাও পাল্টা আঘাত আনে। হাতি আর মানুষে লেগে যায়
লড়াই। এতে ক্ষতি ২ পক্ষেরই। মানুষ ও হাতিদের ছেড়ে দেয়না। এই মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্বে দাঁড়ি টানতে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল তামিলনাড়ুর বন বিভাগ।প্রধানত দেখা যায় হাতি লোকালয়ে হানা দেয় ২টি কারণে। একটা খাবার আর অন্যটা জল। বর্ষায় জঙ্গলে জলের অভাব তাদের হয়না। কিন্তু গ্রীষ্মে জলের অভাব দেখা দেয়। তখন হাতিরা লোকালয়ে জলের খোঁজে ঢুকে পড়ে।কারণ গ্রীষ্মকালে জঙ্গলে যেসব পুকুর বা ছোট নালা থাকে সেগুলি শুকিয়ে যায়। তাই হাতিরা যাতে গ্রীষ্মে জঙ্গলেই পর্যাপ্ত জল পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করতে কৃষ্ণগিরি জেলার হোসুর ফরেস্ট রেঞ্জে এক উদ্যোগ শুরু হয়েছে।সেখানে জঙ্গলের মধ্যে থাকা পুকুর বা ছোট নালাগুলিকে বাইরে থেকে জল এনে ঢেলে পূরণ করা হচ্ছে। জঙ্গলের এসব পুকুর বা ছোট নালায় জল ধরে মোটামুটি ১০ হাজার লিটার। বন বিভাগ ৫ হাজার লিটারের একটি করে জলের ট্যাঙ্ক এনে এখানে সেই জল ঢেলে পূরণ করে দিচ্ছে।প্রতিটি পুকুর বা ছোট নালা পিছু ২টি করে ট্যাঙ্কের জল জল লাগছে। একটি ট্যাঙ্কে ৫ হাজার লিটার জল এনে ঢালতে খরচ হচ্ছে দেড় হাজার
টাকা।তামিলনাড়ুর সব জঙ্গলেই এই উদ্যোগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বন দফতর। যাতে হাতিরা তাদের প্রয়োজনীয় জল পেয়ে যায়। বন্ধ হয় হাতি ও মানুষের লড়াই। হাতি আর লোকালয়ে প্রবেশ করবে না। অভিনব কৌশল বন বিভাগের।