মানুষের মৃত্যু না হওয়া একটি শহর। যেখানে বিগত ৭০ বছর ধরে মৃত্যু হয়নি কোনো লোকের। এই বিশেষ শহরটিতে মানুষের মৃত্যু হওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও। আমাদের এই পৃথিবীতে রহস্যের অন্ত নেই। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি শহরের কথা বলবো যে, এমন একটি শহর রয়েছে যেখানে ৭০ বছর ধরে একজনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। শুনতে আশ্চর্য লাগছে ? হ্যাঁ এটা সত্যি। নরুয়ের একটি শহর, নাম
রহস্যময় এই শহরে কোন মানুষের মৃত্যু হয়না ! কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।
লংইয়ারবাইন (longyearbyen) যেখানে ৭ দশক ধরে একটি লোকেরও মৃত্যু হয়নি। লংইয়ারবাইন শহরে মানুষের মৃত্যুকে নিষিদ্ধ বলাহয়। কিন্তু সত্যি কি এটা সম্ভব? আমরা সবাই জানি নরুয়েতে মধ্য রাতে সূর্য উঠা দেশ বলে জানা যায়। মে মাস থেকে জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায়না এখানে। এখানে একসাথে ৭৪ দিন পর্যন্ত দিবা হয়ে থাকে। যার ফলে ৭৪ দিন রাত্রী হয় না। যারফলে প্রশাসন জারী করেছে এই শহরের মানুষের মৃত্যুর নিষেধাজ্ঞা। উল্লেখ্য যে নরুয়ের লংইয়ারবাইন শহরে বছরের পর বছর অত্যন্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকে, যারফলে এখানে মৃতদেহ খারাপ কিংবা পচে না। আশ্চর্যভাবে এই শহরে ৭০ বছর ধরে কোনো লোকের
মৃত্যু হয়নি। কিছু সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়েছিল ১০০
রহস্যময় এই শহরে কোন মানুষের মৃত্যু হয়না ! কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।
বছর পূর্বে। ১৯১৭ সালে এখানে একজন লোকের মৃত্যু হয়েছিল। যার ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে আক্রান্ত ছিল। তার পর এই লোকটির মৃতদেহ শহরটিতে সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু এই লোকটির শরীরের এখনো পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস রয়েছে। যারফলে প্রশাসন এই শহরটিকে যেকোন মহামারীর হত থেকে রক্ষা করার জন্য এখানে মৃত্যু হওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই শহরটিতে প্রায় দু হাজার লোক বসবাস করে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে বিমানের সাহায্য অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে এই নগরে তার মৃত্যু না হয়। তারপরও যদি লোকটির মৃত্যু হয় তাহলে সেখানেই তার শেষ রীতি নীতি পালন করা হয়।নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট নিউজ।