প্রবল বর্ষণের ফলে চুরাইবাড়ি থেকে শনিছড়া পর্যন্ত আসাম-আগরতলা আট নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে টিলার মাটি পড়ে ভগ্ন দশায় পরিণত হয়ে রয়েছে।ফলে যান চলাচলে যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি পায়ে হেঁটে চলাচলও কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় জনসাধারণের।বিশেষ করে খেরেংজুরি, চাঁন্দপুর এলাকায় রাস্তার পাশের নালা বন্ধ থাকায় জল জমে পুকুর সম গর্তে পরিণত হয়ে রয়েছে।এতে হাটু সমান বালুমাটি জাতীয় সড়কের উপর আটকে পড়ে জন দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা থেকে আসাম আগরতলা আট নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে।এতে জাতীয় সড়কের দুপাশে শত শত ছোট বড় যানবাহন আটকে পড়ে।প্রায় কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত চলে অবরোধ ও বিক্ষোভ।এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসিএম জিনিয়াস দেববর্মা,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষিন্দর সিং ,চুরাইবাড়ি থানার ওসি সমরেশ দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং ঐ এলাকায় অবস্থিত ক্রেসার মালিকদের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিলন নাথ ও সম্পাদক সুয়াব আলী লস্কর সহ অন্যান্যরা। তারা সকলেই অবরোধকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেন।প্রথমে অবরোধকারীরা রাজি না হলেও পরবর্তী সময়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী রবিবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসা হবে সমস্যার স্হায়ী নিরসনের জন্য।এই আশ্বাস পেয়ে অবরোধকারীরা তাদের পথ অবরোধ তুলে নেয়।পাশাপাশি দুটি জেসিবি মেশিন লাগিয়ে সাথে সাথেই রাস্তার পাশের নালা পরিষ্কার করে দেওয়া সহ রাস্তায় পড়ে থাকা বালু মাটি তুলে দেওয়া হয় পাথর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। তবে ঐ এলাকার কিছু ক্রেসার থেকেও বৃষ্টির ফলে জল,বালু ও কাঁদা জাতীয় সড়কের উপর এসে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে ক্রেসার মালিকদেরও দায়ী করা হয়েছে। এদিকে এই কাজের ফলে স্বাভাবিক হয় আসাম আগরতলা আট নং জাতীয় সড়কের যান চলাচল।স্থানীয়দের মতে জাতীয় সড়কের দুপাশের ড্রেন ও কালভার্ট দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়।তাই স্থায়ী সমাধান চাইছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগনরা। চূড়াইবাড়ি প্রতিনিধি রিপোর্ট।